কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার শিশু অপহরণ মামলায় প্রতিবেশী এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্ত আসামি হলেন দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকু-ি পূর্ব ম-লপাড়া গ্রামের চাঁদ আলীর মেয়ে বেদেনা খাতুন ওরফে লিমা (৩৮)। এ মামলায় অপর ৩ আসামি ঠেকারী খাতুন, চাঁদ আলী ও আব্দুর রশিদদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালতসূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি গ্রামের ছমির আলীর স্ত্রী বিনা খাতুন তার ৬ মাস বয়সী শিশুপুত্র কর্ণকে ঘরের বারান্দায় শুইয়ে রেখে গৃহস্থালীর কাজে বাড়ির বাইরে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় আসামি বেদেনা খাতুন লিমাসহ অপর তিন সহযোগীর যোগসাজসে শিশু কর্ণকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। এ ঘটনায় শিশুর পিতা ছমির আলী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের দ.বি. ৭ ধারায় অভিযোগ এনে বেদেনা খাতুনসহ ৪জনের নামোল্লেখসহ দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ কৌঁসুলি আব্দুল হালিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দৌলতপুর থানার শিশু মামলাটি আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে চার্জ গঠন করে। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানিতে বেদেনা খতুন লিমার বিরুদ্ধে আনীত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের দ:বি: ৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ ও মামলার অপর ৩ আসামিদের খালাস দিয়েছেন।