রোগীদের সেবা দেবে নোমানের তৈরি রোবট

গাংনীর সেই ক্ষুদে বিজ্ঞানী আবারও আলোচনায়

মাজেদুল হক মানিক: হাসপাতালে অনেক সময় অসহায় রোগীদের সাথে সহযোগী কেউ থাকে না। আবার নার্সরাও সবদিক সামলে উঠতে পারেন না। তবে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার সেবা দেবে নিজের তৈরি রোবট। রোগীদের বেডে ওষুধ ও খাদ্য পৌঁছে দেয়া এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে এই রোবট। এমন এক রোবট তৈরি করে আবারও হৈচৈ ফেলে দিয়েছে সেই ক্ষুদে বিজ্ঞানীখ্যাত আব্দুল্লাহ আল নবী নোমান। জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা পুরস্কার ২০২০ এ মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নোমান।
আব্দুল্লাহ আল নবী নোমান মেহেরপুরের গাংনীর তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাবলুন্নবী ও জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুসরাত সুলতানার ছেলে। সে লাইসিয়াম স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
এর আগে গত বছর বায়ুবিদ্যুতের (উইন্ডমিল) মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ যন্ত্র উদ্ভাবনের মাধ্যমে হৈচৈ ফেলে দিয়ে জেলা ও বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করেছিলো।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির উদ্যোগে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল রোববর মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘খ’ গ্রুপে অংশ নেয় নোমান। প্রতিযোগিতায় তার তৈরি হেলপার রোবট প্রদর্শন করে। ক্ষুদে বিজ্ঞানী নোমান তার রোবটের কার্যকারিতা দেখিয়ে বিচারকদের আকৃষ্ট করে। সহজলভ্য ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি দিয়ে ‘হেলপার রোবট’ তৈরি করেছে নোমান। এর মধ্যে রয়েছে তার খেলনার জন্য কেনা ভাঙ্গাচোরা গাড়ির অংশ বিশেষ। সম্পূর্ণ রিমোট দিয়ে পরিচালিত এই ‘হেলপার রোবট’ হাসপাতালের রোগী সেবা ছাড়াও বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতে পারবে বলে জানান নোমান।
এর আগে রোবট প্রদর্শন করে গাংনী উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এর ধারাবাহিকতায় জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে এখন বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্ষুদে বিজ্ঞানী নোমান। আবিষ্কারের নেশার পাশাপাশি লেখাপাড়াতেও ভালো করছে সে। ২০১৮ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায় নোমান।
এ প্রসঙ্গে নোমানের গর্বিত পিতা জাবলুন্নবী বলেন, ছেলে সব সময় আবিষ্কার নিয়েই ব্যস্ত থাকে। এটা এক প্রকার নেশায় পরিণত হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তার এই কাজের আগ্রহ থাকায় আমরাও তাকে সহযোগিতা করছি। বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যদিয়ে নোমানের এই প্রজেক্ট দেশের কাজে লাগবে এমন আশা নিয়ে সকলের কাছে ছেলের জন্য দোয়া কামনা করেন তিনি।