বুদ্ধির মুক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ
স্টাফ রিপোর্টার: ‘বাঙালি সংস্কৃতির শুদ্ধ বারতা, বুদ্ধির মুক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা’ এ স্লোগান সামনে নিয়ে টানা ৬ দিনের অরিন্দম সাংস্কৃতিক উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত নাটক মঞ্চস্থ করা সম্ভব না হলেও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে গতরাতে এবারের উৎসবের ইতি টানা হয়।
সমাপনী দিনের সন্ধ্যায় আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার আলোচনা পর্বে অতিথির বক্তব্যে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক সরদার আল আমিন বলেছেন, কুসংস্কারসহ অপসংস্কৃতি রুখতে অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন চুয়াডাঙ্গা ৩৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে অবদান রেখে চলেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। সংগঠনটি সমাজ সংস্কারে একের পর এক দায়িত্বশীলতার যে পরিচয় দিচ্ছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে শুধু সমাজের দায়িত্বশীলদেরই নয়, সুন্দর সমাজ প্রত্যাশী সকলকেই পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্বেরই অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন চুয়াডাঙ্গার সহসভাপতি কাজল মাহমুদের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসব আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট নাট্যকার মো. আলাউদ্দিন। অপর অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ। তিনি অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার বর্ণনাসহ সাংস্কৃতিক চর্চার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মুক্ত চিন্তার পরিবেশ গড়ে তোলার তাগিদ দেন। স্বাগত বক্তব্যে মো. আলাউদ্দীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবারের উৎসব সম্পন্ন করতে পেরে যেমন সন্তোষ প্রকাশ করেন, তেমনই তিনি দর্শক¯্রােতাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি পেয়ে উল্লাসিত হয়ে বলেন, আয়োজন স্বার্থক করতে যাদের অবদান রয়েছে আমরা তাদের সকলের প্রতিকৃতজ্ঞ। আলোচনাসভার অতিথি সরদার আল আমিন তার বক্তব্যে আরও বলেন, অতীতের নির্মাণ করা সমাজে আমরা অবস্থান করছি। এই বর্তমানকে যদি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগাতে না পারি তাহলে সমাজ যাবে রশাতলে। ফলে সম্মিলিতভাবেই বর্তমানকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার এখনই সময়। চরম এই বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজন অবশ্যই ভবিষ্যতেও স্মরণীয় হবে। অনুষ্ঠানের এক পর্বে অতিথি সরদার আল আমিনকে সাংগঠনের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। ক্রেস্ট ও স্মরণীকা তুলে দেন অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি বজলুর রহমান। সভার সভাপতি কাজল মাহমুদ মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা এবং বুদ্ধির মুক্তি কতটা প্রয়োজন তার গুরুত্ব মেলে ধরে আয়োজনের সকল সহযোগীর কথা অকপটে স্বীকার করেন এবং আগামীতে আরও সুন্দর উৎসবের আয়োজন করার ইচ্ছে ব্যক্ত করে এবারের আয়োজনের সমাপনী ঘোষণা করেন।
অরিন্দমের নৃত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারুণ অর রশিদ শান্তর সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি হেলাল হোসেন জোয়ার্দ্দার, অমিতাভ মীর, কামরুন্নাহার ইতি, ফারিহা হক ও তামিম। নৃত্য পরিবেশন করেন শিশু নৃত্যশিল্পী আখিতার মিম ও জ্যোতি পোদ্দার। এছাড়া গান পরিবেশন করেন ইয়াকুব আলী জোয়ার্দ্দার, মনিরুজ্জামান মানিক, জাহাঙ্গীর হোসেন হিরু, সাগর বাউল, দেলোয়ার হোসেন বাপ্পি, শিশুশিল্পী রিথি, তমা ও দিব্য।