সংস্কৃতি চর্চাই পারে সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করে আলোকিত করতে
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: শিল্প সাহিত্য চর্চার মধ্যদিয়ে একটি জাতি মনুষ্যত্ববোধকে জাগিয়ে বিশ্ব দরবারে তার পরিচয় তুলে ধরতে পারে। মানবতাবোধ জাগ্রত না হলে সে জাতি অগ্রসর হতে পারে না। সংস্কৃতি চর্চাই পারে সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করে আলোকিত করতে। তরুণদের কাছে নজরুল বিদ্রোহের অনন্ত প্রতীক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কবি নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেন। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দুই বাংলাতেই তার কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বাংলা কবিতায় তিনি এনেছিলেন সম্পূর্ণ নতুন এক সুর, ছিলেন মানবতার উচ্চকণ্ঠ প্রচারক, গানে মিশিয়েছিলেন বিচিত্র ধারা। নজরুলের চেতনা ও আদর্শ বাঙালির জীবনে চিরন্তন, বাংলাদেশের উত্থান-পতনময় সংগ্রামী ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। নির্মম দারিদ্র্য থেকে অসামান্য প্রতিভায় তিনি অভিষি হয়েছেন মহাপুরুষের আসনে। আজীবন সংগ্রাম করেছেন শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য। সোচ্চার ছিলেন সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, কূপমূ-কতার বিরুদ্ধে। তরুণদের কাছে তিনি বিদ্রোহের অনন্ত প্রতীক। কথাগুলো বলেছেন দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল স্মৃতি বিজড়িত স্বর্গীয় বাবু হর্ষপ্রিয়র আটচালা পরিদর্শন উপলক্ষে সাহিত্য সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি তার বক্তব্যে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা নজরুল মঞ্চে কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদ ও নজরুল স্মৃতি সাহিত্য সংসদ অনলাইনের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলি মুনছুর বাবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খলিলুর রহমান ভুট্ট, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সহিদুল হক, কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শিক্ষক শফিকউর রহমান, কবি গবেষক মাহমুদুল হাসান নিজামী, কবি বিদ্যুত দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাইলাল সরকার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মহি উদ্দিন, কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, ওসি তদন্ত জাহাঙ্গীর কবির, আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান, আবু সাইদ, আবু সামা, বাংলাদেশ হেয়ার প্রসেসিঙের সভাপতি হাসিবুজ্জামান শহিদ বিশ্বাস, কবি শরিফ সাথী যুবলীগ নেতা পিন্টু বিশ্বাস, মিন্টু, রফিক, জাব্বার খাবলী, ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রানা, সাধারণ সম্পাদক সানাউল কবির শিরিন, ছাত্রলীগ নেতা তুহিন, সাজ্জাদ, রিয়াদ সাংবাদিক রতন, মিলন প্রমুখ। এর আগে আটচালা ঘর সংলগ্ন স্মৃতিফলকে মন্ত্রী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ঘর পরিদর্শন করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি এমএ গফুর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আটচালা ঘর মালিক মি. প্রকৃতি বিশ্বাস, সম্মেলন কথন নজরুল স্মৃতি সংসদের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ।