দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরোধ ভেঙে ইংল্যান্ডের নাটকীয় জয়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ডম বেসের ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নেয়া সম্ভব ছিলো, কি ভেবে যেন নিলেন না ভারনন ফিল্যান্ডার। পরের ওভারে পরপর দুই বলে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও আনরিক নরকিয়াকে বিদায় করে ইংল্যান্ডকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে গেলেন বেন স্টোকস। পরে ফিল্যান্ডারকেই ফিরিয়ে বাকিটুকু সারলেন এই অলরাউন্ডার। কেপ টাউনে দ্বিতীয় টেস্ট ১৮৯ রানে জিতে চার ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে ইংল্যান্ড। ৪৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৪৮ রানে থেমেছে ফাফ দু প্লেসিদের দ্বিতীয় ইনিংস। ১৯৫৭ সালের পর এই প্রথম নিউল্যান্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ২৪৮ রানে। শেষ দিনের খেলা বাকি ছিলো কেবল ৯.২ ওভার।
শুরুতেই নাইটওয়াচম্যান কেশভ মহারাজকে এলবিডব্লিউ করে বিদায় করেন জেমস অ্যান্ডারসন। আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন পিটার মালান, সেখান থেকেই যেন শুরু করেন এই ওপেনার। বলের পর বল ঠেকিয়ে যাওয়ার মাস্টার ফাফ দু প্লেসির সঙ্গে জমে ওঠে তার জুটি। অধিনায়কের বাজে শটে ভাঙে জুটি। অফ স্পিনার বেসের বলে সুইপ করে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন দু প্লেসি। নতুন বলে মালানের প্রতিরোধ ভাঙেন স্যাম কারান। দ্বিতীয় স্লিপে স্টোকসের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় অভিষিক্ত ব্যাটসম্যানের ম্যারাথন ইনিংস। ৩৬৯ মিনিটে ২৮৮ বল খেলে ৩ চারে মালান করেন ৮৪।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত রাসি ফন ডার ডাসেন দেখান চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা। ঠেকিয়ে যান একের পর এক বল। নিজের সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং না করলেও কুইন্টন ডি কক নিয়মিতই খেলছিলেন শট। সেটিই শেষ পর্যন্ত কাল হয়। জো ডেনলির শর্ট বল পাঠাতে পারতেন যে কোনো জায়গায়। ডি কক মোটেও টাইমিং করতে পারলেন না। শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিলেন জ্যাক ক্রলির হাতে। সাত চারে ১০৭ বলে ডি কক ফিরেন ৫০ রান করে। ইংলিশদের দারুণ পরিকল্পনায় মেলে পরের উইকেট। খানিক আগেও মিড অনে ফিল্ডিং করা অ্যান্ডারসন আসেন লেগ গালিতে। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে সেখানেই তাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ফন ডার ডাসেন। ১৯৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৪০ বল সামলে করেন ১৭ রান।
ফিল্যান্ডার ও প্রিটোরিয়াসের ব্যাটে ম্যাচ বাঁচানোর আশা ভালোভাবেই টিকেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার। এরপর ফিল্যান্ডারের সেই রান না নেয়া আর স্টোকসের জোড়া আঘাত। যা আর সামলাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন স্টোকস। দুটি করে উইকেট নেন অ্যান্ডারসন ও ডেনলি।