স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গায় নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সীমা শারমিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বেলগাছী ইউনিয়নের ডামোশ গ্রামের আরমান হোসেনের কন্যা এরশাদপুর একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী আলেয়া খাতুনের (১৫) বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার ঘটা করে আলেয়া খাতুন ও আলমডাঙ্গার খাদিমপুরের রংপুর গ্রামের মিরাজুলের ছেলে রনির (২৬) সাথে বিয়ের আয়োজন করে। রনি ডামোশ গ্রামে তার নানাবাড়িতে বসবাস করে আসছে। স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় পত্রিকার কয়েকজন সাংবাদিক রোববার সন্ধ্যায় বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হন। এসময় জন্মনিবন্ধন ও স্কুল সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে রাজনৈতিক নেতা শাহিন ও তার লোকজন সাংবাদিকদের বিভিন্ন সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে ও স্থানীয়দের সামনে দম্ভ দেখিয়ে পুলিশ প্রশাসন কিছু করতে পারবে না বলে জানায়।
এ ঘটনার পরই স্থানীয় সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জকে বাল্যবিয়ের বিষয়টি অবগত করেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বিয়ে পন্ড করেছে। ৩ মাস পূর্বে বিয়ে হয়ে গেছে এমন কথা শোনা গেলেও বিয়ের বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। বিয়ের কাজীকে খুঁজছে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সীমা শারমিন বলেন, ডামোশ গ্রামের বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। উভয়পক্ষের অভিভাবকরা কিশোরীর বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না এ মর্মে মুচলেকা প্রদান করেছে। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ডামোশ গ্রামে বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটি গঠন করে গ্রামের কিছু উঠতি বয়সী স্কুল-ছাত্রীরা। বাল্যবিয়ের শিকার স্কুল ছাত্রী ওই কমিটির সদস্য বলে এলাকা সূত্রে জানা যায়।