উল্লাসমাখা হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিন

স্টাফ রিপোর্টার: সন্তান, সহধর্মিণী, সহকর্মী সহযোদ্ধাসহ শুভান্যুধায়ীদের উল্লাসমাখা হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত হলেন সরদার আল আমিন। পরশু রাত থেকে শুরু করে গতরাত পর্যন্ত শুভেচ্ছা আর শুভেচ্ছায় ভরে ওঠেন তিনি। কেনো? গতকাল ছিলো দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি বাংলাভিশন প্রতিনিধি সরদার আল আমিনের শুভ জন্মদিন।
সাংবাদিকতায় ৩০ বছর পেরিয়ে ৩১ বছরে, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন ঘুরে ফিরে। এবারও তিনি সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সদালাপী সরদার আল আমিনের লেখনীর সুফল ছড়িয়েছে এলাকার সর্বত্রে। যেখানেই কুসংস্কারের অন্ধকার সেখানেই সচেনতার আলো ছড়ানোর প্রত্যয়, যেখানেই সন্ত্রাস সেখানেই আপসহীন কলম। আর মাদক? সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়া তো দৈনিক মাথাভাঙ্গা পরিবারের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে যে মানুষের নিরলস বিরামহীন পথচলা, সেই মানুষটির জন্মদিনে সর্বস্তরের ভালোবাসা যে উথলে পড়বে তা বলাই বাহুল্য। যদিও কবে কখন জন্মদিন তার হিসাব তিনি রাখেনই না। অগোছালো মানুষটিকে গুছিয়ে তুলেছে যে নারী তিনি তারই সহধর্মিণী। শিক্ষিকা লুনা শারমীন শশী। তিনিই প্রথমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চেনা অচেনা সকলকে যখন মনে করিয়ে দেন। তখন থেকেই মূলত শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যেতে শুরু করে। সকাল হয়, যতোই বেলা গড়াতে থাকে ততোই ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হতে থাকেন সম্পাদক সরদার আল আমিন। সহধর্মিণীর বিশেষ উদ্যোগে নিজ বাসায় দুুপুরে পঞ্চদশ পদের খাবার, বিকেলে রোদে বসে দাদি নানির স্মৃতিচারণ। যেদিন সরদার আল আমিন ভূমিষ্ঠ হন চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড়স্থ সরদারপাড়ার পৈত্রিক ভিটেই। সেদিন ছিলো তীব্র শীত। অতো শীতে নবজাতককে নিয়ে দাদির সেদিনের কষ্ট ছিলো কতোটা? তা নিয়ে যেমন অন্তহীন ভাবনা, তেমনই ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছুদিনের মাথায় মায়ের অসুস্থতার কারণে মাতুলালয় দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়নের রামনগরে নেয়া হলে নিকটজনদের কতটা কষ্ট হয়েছে তাও উঠে এলো স্মৃতিচারণে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে না হতেই একান্ত পরিবেশে নিজের শোবার ঘরেই ছোট ছেলে শীর্ষর বিশেষ উদ্যোগে কাটা হলো জন্মদিনের কেক। আর সম্পাদকপতœীর তুলনাহীন পায়েশের চামচে দমে দমে চুমুক দিয়ে সম্পাদক সরদার আল আমিন যখন পৌঁছুলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ভবনে। তখন ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। ৮টায় শুরু হয় প্রেসক্লাবে কেক কাটাসহ ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া পর্ব। যা ছিলো পূর্বঘোষণা ছাড়াই। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ সাধারণ সদস্যদের উৎসাহে কেক কাঁটাসহ ফুলেল শুভেচ্ছা পর্ব শেষে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের শুভেচ্ছা প্রদান পর্ব। সম্পাদকপতœীর পাঠানো পায়েশ আর কেকের অংশের আপ্যায়নপর্ব শেষে সম্পাদক যখন তার কার্যালয়ে পৌঁছুলেন, তখন রাত সাড়ে ৯টা। তারপর? দৈনিক মাথাভাঙ্গার সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের শুভেচ্ছা পর্ব। তিনি তার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন। তিনি সম্পাদকের দীর্ঘায়ু কামনা করে দৈনিক মাথাভাঙ্গার বলিষ্ঠ লেখনী প্রত্যাশা করে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। সারাদিনে অফুরন্ত ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সরদার আল আমিন তার মায়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ পিতা ইদ্রিস আলী সরদারের সুস্থতা কামনায় সকলের দোয়া চেয়ে ফেসবুক, টুইটার, লিংকদিনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যারা অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।