দামুড়হুদায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বীজের টাকা ফেরত দিলো নাঈম বীজ ভান্ডার

দামুড়হুদা ব্যুরো : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ধান বীজের টাকা ফেরত দিতে বাঁধ্য হয়েছে স্থানীয় বীজ বিক্রেতা নাঈম বীজ ভান্ডারের মালিক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাথাপিছু ২ হাজার ৫ শ টাকা করে ফেরত দেয় ওই প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর রাজনগরের আরমান সীড কোম্পানির ব্রি ধান-৬৩ জাতের ভেজাল ও নি¤œমানের ধান বীজ বাজার করণের লক্ষে মান ঘোষিত এবং উচ্চ ফলনশীল বলে কৃষকদের নিকট বিক্রি করেন স্থানীয় বীজ বিক্রেতা নাঈম বীজ ভান্ডার। সম্প্রতি ওই নাঈম বীজ ভান্ডার থেকে দামুড়হুদার পুড়াপাড়া ও কেশবপুর গ্রামের কয়েকজন চাষি ব্রি-৬৩ জাতের ধান বীজ ক্রয় করেন। ওই কোম্পানির বীজ ঠিক মতো জার্মিনেশন না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা। এ সংক্রান্তে গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘দামুড়হুদায় স্থানীয় বীজ বিক্রেতা কোম্পানির পক্ষে সাফাই গাইলেও ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের ভিন্নমত প্রকাশ: ভোজল ও নি¤œমানের ধান বীজ দিয়ে ঠকানো হচ্ছে চাষিদের : ক্ষদিপূরণ দাবী’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের পাশে দাঁড়ায় উপজেলা কৃষি বিভাগ। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে পুড়াপাড়ার আফজাল মন্ডলের ছেলে জয়নাল আবেদীন, একই গ্রামের সুরাত আলীর দু ছেলে সাইফদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেক্সোনা খাতুন এবং কেশবপুর গ্রামের কালাচাঁদের ছেলে কামাল হোসেনকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন। মোট ৫ জনকে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়া হয়। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোন কৃষককে যদি নি¤œমানের বীজ দিয়ে কেউ প্রতারণা করে তার বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এ দিকে ক্ষতিপূরণ নগদে বুৃঝে পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পক্ষ থেকে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মনিরুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।