দামুড়হুদায় বিজয় দিবস ফুটবলে সোনালী অতীতকে হারিয়ে ঈশ্বরচন্দ্রপুরের জয়লাভ

সোনালী অতীতের নান্দনিক খেলায় মুগ্ধ দর্শক

দামুড়হুদা ব্যুরো : দর্শনার গিয়াস উদ্দীন পিনা। নামটা শুনলেই যেন ফুটবলের গন্ধ ভেসে আসে। বয়স ৫৫ ছুইছুই। যৌবনের সেই নান্দনিক ফুটবল খেলা দর্শকদের উপহার দিতে এখনও মরিয়া তিনি। সময় পেলেই পাঞ্জাবি গায়েই মাঠে নেমে পড়েন তরুণদের সাথে খেলতে। খেলার প্রতি এখনও নেশা কাটেনি বিন্দুমাত্র। বয়সের কারণে যৌবনের স্টেমিনা না থাকলেও প্রতিপক্ষকে ছেড়ে কথা বলার পাত্র তিনি নন। প্রাণপন চেষ্টা প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠবেন। দলীয় সমর্থকদের মুখে দেখা যাবে হাসির ঝিলিক। সেই সাথে হাজারো করোতালি। প্রাণপন চেষ্টা চালিয়েও তিনি গতকাল প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস, জীবননগরের আদুন, চুয়াডাঙ্গার আলী কদরন জোয়ার্দ্দার, মিলন, হ্যাজি, সজিব, জুয়েল, হাসাদহের গোলরক্ষক জোসি, দামুড়হুদার জাকির, এনামুল, জাহিদ, দর্শনার সাইফুল ইসলাম হুকুম আলী এবং দামুড়হুদার শহিদ আজম সদু। এদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গা ফুটবলের আরেক নক্ষত্র সরোয়ার হোসেন মধু ওস্তাদের নেতৃত্বে সোনালী অতীত ফুটবল একাদশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দামুড়হুদা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ওই সোনালী অতীত ফুটবল একাদশ বনাম ঈশ্বরচন্দ্রপুর ফুটবল একাদশের মধ্যে হয়ে গেলো বিজয় দিবস ফুটবল টুর্নামেন্টের ৭ম খেলা। তীব্র প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ খেলায় সোনালী অতীত ফুটবল একাদশকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ঈশ্বরচন্দ্রপুর ফুটবল একাদশের খেলোয়াড়রা। তাতে কি হয়েছে ? দর্শকরাতো নান্দনিক ফুটবল খেলা দেখতে পেয়েছে। এটাইবা কম কিসের। খেলায় সোনালী অতীতের হয়ে জাকির ১ টি, সজিব ১ টি এবং মিলন গোল করেছেন ১ টি। অপর দিকে ঈশ্বরচন্দ্রপুরের হয়ে বিপ্লব ২ টি, শাহাবুল ১ টি এবং রিমন ১টি গোল করেছেন। মাঠে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক সৈয়দ মাসুদুর রহমান খোকন, ইউসুফ আলী ও নুরুল হুদা। ধারাভাষ্য দেন শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। সার্বিক ততক্তাবধানে ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এম. নুরুন্নবী। আজ শুক্রবার বিকেলে একই মাঠে দামুড়হুদা নিউস্টার ক্লাব বনাম জয়রামপুর ফুটবল একাদশের মধ্যে টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের শেষ খেলা অনুষ্ঠিত হবে।