অসংখ্য পাঠকের মতো আমারও প্রতিদিনের কর্মকা- শুরু হয় দৈনিক মাথাভাঙ্গা পড়ে

সাইকেল প্রদানকালে প্রধান অতিথি ও সম্পাদকসহ সকলে

দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক পরিষদের সাথে সহকর্মীদের মত বিনময়সভায় প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: দৈনিক মাথাভাঙ্গা শুধু বস্তু নিষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন করেই আস্থা অর্জন করেনি, পাঠকের প্রত্যাশিত তথা মনের কথা সাবলিল ভাষায় সঠিকভাবে তুলে ধরে বলেই সকলের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আস্তে আস্তে অর্জিত ভালোবাসা অক্ষুন্ন রাখতে অবশ্যই মাথাভাঙ্গা পরিবারকে আরো বেশি করে আন্তরিক ও কর্তব্যপরায়ন হতে হবে।
দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক পরিষদের সাথে সহকর্মীদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার উপরোক্ত অভিমত ব্যক্তি করে বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আসার পর দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকাটি যে এভাবে হৃদয়ে স্থান করে নেবে তা আগে কখনো বুজিনি। একটি জেলা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা এতোটা পাঠকপ্রিয়তা পেতে পারে তাও আগে জানা ছিলো না। অসংখ্য পাঠকের মতো আমারও প্রতিদিনের কর্মকা- শুরু হয় দৈনিক মাথাভাঙ্গা পড়ে। মাথাভাঙ্গা হাতে না নিয়ে সকালের প্রথম চায়ের কাপে চুমুকের কথা এখন সত্যিই আর ভাবতে পারি না। এটা একটা দৃষ্টান্তও বটে।
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান মালার সমাপনি মতনিমসভায় সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক সরদার আল আমিন। এ পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন উপদেষ্টা হাজি অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খান, উপদেষ্টা প্রবীণ সাংবাদিক মাহতাব উদ্দিন, দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রয়াত প্রধান সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম পিনুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাথাভাঙ্গার উপদেষ্টা চুূয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, সম্পাদকের পিতা ইদ্রিস আলী সরদার, শুভানুধায়ী মনিরুল ইসলাম, শাফিউল ইসলাম শীর্ষ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাব এডিটর ফাইজার চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা, প্রধান প্রতিবেদক বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, জীবননগর ব্যুরো প্রধান মাহবুবুর রহমান বাবু প্রমুখ। সালাউদ্দীন কাজলের উপস্থাপিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যায়ে একের পর এক পদক্ষেপ যেমন নিচ্ছে তেমনই তথ্য অধিতকার আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণমাধ্যমগুলোকে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষেও প্রশংসনীয় ও বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নিয়েছে। তথ্য যাচাইয়ের জন্যও ঘুরে ফিরে তাগিদ দেয়া হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, গুজব ক্ষণস্থায়ী। ওতে কান দিলে হয়রান হতে হয়। ফলে সত্য মিথা যাচাই করেই পা বাড়নোর সময় এসেছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, মানুষ কখনোই বিভ্রান্তকর খবর পেতে চায় না। সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ এবং ইতিবাচক খবর সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়ক। এদিকে যেমন লক্ষ্য রাখতে হবে, তেমনই নিজেদেরকেও স্বচ্ছ্ব রাখতে হবে। জেলা প্রশাসন সব সময় ভালোকে স্বাগত জানায়। মাথাভাঙ্গা পরিবারের ভালোটাই প্রত্যাশা করে প্রশাসন। সতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথিরা প্রয়াত সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিনুকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশঅপাশি দৈনিক মাথাভাঙ্গার অগ্রযাত্রায় বিগত দিনে যাদের যতোটুকু অবদান আছে তাও কৃতজ্ঞচিত্ত্বে স্মরণ করে মাথাভাঙ্গা পরিবারের আরো সমৃদ্ধি কামনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন বলেন, একটি সংবাদপত্র কোন একক ব্যক্তির পক্ষে পূর্ণতা দেয়া সম্ভব নয়। প্রতিনিধি, এজেন্ট ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং বার্তা বিভাগসহ ছাপাখানার প্রত্যেকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দৈনিক মাভাঙ্গার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। মাথাভাঙ্গা পরিবার কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি, অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি। কোন ঘোষ্ঠির মতবাদের সংকীর্ণতায়ও আবদ্ধ হয়নি। এ জন্য ঘুরে ফিরেই এসেছে নানা ঘেরাটোপ। এসব অতিক্রম করার সাহস জুড়িয়ে চলেছেন আমাদের অগণিত পাঠক। ফলে সব সময়ই আমরা পাঠককূলের প্রত্যাশা পুরণে নিবেদিত।
মতবিনময়র আগে বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে সম্পাদক পরিষদের মতবিনময় অনুষ্ঠিত হয়। সময়ও প্রয়াত সকলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দায়িত্বের প্রতি আরো আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। উপস্থিত প্রত্যেকের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেয়ার পাশাপাশি কুপন লটারির মাধ্যমে তিনজন বিক্রয় প্রতিনিধিকে তিনটি বাইসাইকেল প্রদান করা হয়। এই ভাগ্যবান তিনজন বিক্রয় প্রতিনিধি হলেন, চুয়াডাঙ্গার জুয়েল ও বিপ্লব এবং আলমডাঙ্গার জাহিদুল। এছাড়াও উপস্থিত প্রতিনিধিদেরও প্রদান করা হয় স্মারক উপহার। দুপুরে আয়োজিত মধান্যভোজে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের আমন্ত্রীত প্রতিনিধরাও অংশ নেন। এ সময় তারা দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রতিটি পদক্ষেপকেই ভূয়োশি প্রশংসা করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় প্রতিনিধি সম্মেলন। উপস্থিত প্রায় সকলেই তাদের মতামত পেশ করেন। জীবননগর ব্যূরো প্রধান এমআর বাবু, সহকারী ব্যূরো সালাউদ্দিন কাজল, দর্শনা বূরো প্রধান হারুণ রাজু, সহকারী ব্যূরো হানিফ ম-ল, দামুড়হুদা ব্যূরো প্রধান বখতিয়ার হোসেন বকুল, আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি নারায়ণ ভৌমিক, মেহেরপুর ব্যূরো প্রধান মহাসিন আলী, মেহেরপুর প্রতিনিধি মাসুদ রানা, মুজিবনগর প্রতিনিধি শেখ শফি, বাড়াদী প্রতিনিধি হামিদুল ইসলাম, বাড়াদী প্রতিনিধি হামিদুল ইসলাম, ডিঙ্গেদাহ প্রতিনিধি ইলিয়াস হোসেন, বেগমপুর প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান জিয়া, পদ্মাবিলা প্রতিনিধি সুজন মাহমুদ, সহকারী ব্যূরো আলমডাঙ্গা শরিফুল ইসলাম রোকন, জামজামি প্রতিনিধি কেএ মান্নান, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি অনিক সাইফুল,ভালাইপুর প্রতিনিধি সাইদুর রহমান, বাড়াদী প্রতিনিধি ইখলাছ উদ্দিন, হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি সাইফুল হুদা সোহেল, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি আলমডাঙ্গা মামুন কাইরুল, খাদিমপুর শরিফুল ইসলাম, আসমানখালী প্রতিনিধি শাহাদত হোসেন লাভলু, কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি শরিফ রতন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি কার্পাসডাঙ্গা, মোস্তাফিজ কচি, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ দামুড়হুদা অফিস, হাউলি প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ, জুড়ানপুর প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি দামুড়হুদা তাসির আহমেদ, কালীগঞ্জ প্রতিনিধি শিপলু জামান, কোর্টচাঁদপুর প্রতিনিধি ফারুখ আমহেদ মুকুল, ডাকবাংলা প্রতিনিধি গিয়াস সেতু, বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি মনজুর আলম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কাঞ্চন কুমার প্রমুখ। এছাড়া শিফট ইনচার্জ আলম আশরাফ, ক্রীড়া প্রতিবেদক ইসলাম রকিব, স্টাফ রিপোর্টার খাইরুজ্জামান সেতু, জাকির মুনসাদ, মারুফ হোসেন, হাজি নাসির জোয়ার্দ্দার, ইসলাম রকিব, খাইরুজ্জামান সেতু, শামসুজ্জোহা রানা, জহির রায়হান সোহাগ, শামীম রেজা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়ত্বে ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার, সার্ক্যুলেশন ম্যানেজার রানা মাসুদ ও সহকারী সার্ক্যুলেশন ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন। সম্মেলনে প্রতিনিধিদের মতামতের প্রেক্ষিতে সম্পাদক পরিষদ আগামী দিনের পথকে আরো সুন্দর এবং পাঠককূলের প্রত্যাশা পুরণে আরো কর্তব্যপরায়ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সব শেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।