স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের দ্বেবিনগরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ৫জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্নি খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল আখতারের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মিরা জানান,‘ আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে সদর খান অনুগত আনিচ চেয়ারম্যানের লোকজন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবুল আখতারের লোকজনের ওপর হামলা করে। এ সময় কয়েকজন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় কয়েকটি ঘরবাড়ি। এরই জের ধরে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিব্ধিসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে এ সময় সাহিদা খাতুন ও শহিদুল ইসলাস গুলিবিদ্ধ এবং উজ্জল শেখ ও মাসুম বিশ্বাসসহ কমপক্ষে ১০জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ ঘটনার সততা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ঘীরে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের টানা দ্বিতীয় বারের সভাপতি নির্বাাচিত হন সদর উদ্দিন খান ও খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। এ দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে আসছে। কর্মিরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। গত ২৫ নভেম্বর খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ঘীরে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০জন আহত হয়।