দামুড়হুদা ব্যুরো: প্রতি ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা যায়। স্বল্প সময়ে কৃষক ধান গোছাতে পারবে। শুষ্ক জমির মতো কাদা পানিতেও ধান কাটা যায়। শুয়ে পড়া ধানও কাটা যায়। স্বল্প সময়ে এবং কম খরচে ধান-গম কাটা-ঝাড়ার জন্য কম্বাইন হার্ভেস্টারের বিকল্প নেই। বড় ট্যাঙ্কি থাকায় চাষিদের বস্তা নিয়ে দৌঁড়াতে হয় না। মাড়াইয়ের পর বিচালি আস্ত থাকে। এই মেশিন চাষিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এক কথায় বলতে গেলে কম্বাইন হার্ভেস্টার চাষিদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেকের জমিতে কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তনের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলী হাসান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। লোকনাথপুরস্থ কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেডের আয়োজনে প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, লেবার দিয়ে হাতে ধান কেটে ঝাড়াই-মাড়াই করতে প্রতি বিঘায় যে খরচ হয় তার তুলনায় কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়ে ধান কাটলে ৪২ ভাগ টাকা সাশ্রয় হয় এবং একভাগ ধানও ক্ষতি হয় না। ফলে বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় মণ ফলন বেশি পাওয়া যায়। চাষিদের এখন আর লেবারের জন্য অপক্ষো করতে হবে না বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোছা. শারমিন সুলতানা, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিত কুমার বিশ^াস, কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূর আলম লিটন এবং কনিকা সীড কোম্পানির পরিচালক (অপারেশন) মুুহা. আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্যে কনিকা সীড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুর আলম লিটন বলেন, মেকানাইজেশন সম্প্রসারণ ও ধান-গম কর্তনের সেবা কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কনিকা সীড কোম্পানি বিভিন্ন প্রদর্শনী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এলাকার চাষিদের সুবিধার্থে গত বছর ২টি কম্বাইন হার্ভেস্টার ক্রয় করা হয়। কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়ে এলাকার চাষিদের কম খরচে ধান ও গম ঝাড়া-কাটাসহ সার্বিক সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ওই কম্বাইন হার্ভেস্টারে মাত্র ২০ মিনিটে এক বিঘা জমির ধান কর্তন, ঝাড়াই ও মাড়াই করা সম্ভব। এছাড়া বিচালিও সারিবদ্ধভাবে পড়ে যায়। উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে আতিকুর রহমান, ডালিম হোসেন ও আব্দুল হামিদ অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে অভিন্ন ভাষায় বলেন, কম্বাইন হার্ভেস্টার কৃষকদের ধান-গম কর্তন ও ঝাড়ার জন্য যুগোপযোগী একটি মেশিন। আমরা প্রত্যক্ষভাবে যা দেখলাম কম্বাইন হার্ভেস্টার কৃষকদের আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করবে। উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কায়জার আলী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, আজহারুল ইসলামসহ এলাকার শতাধিক কৃষকবৃন্দ।
দামুড়হুদায় কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন
