কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: নিরাপত্তার শঙ্কায় পিটিয়ে হত্যা বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের অনুজ ঢাকা কলেজের একাদশ বিজ্ঞান বিভাগ ১ম বর্ষের ছাত্র আবরার ফাইয়াজ ঢাকা কলেজ থেকে টিসি এনে ভর্তি হলেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে ফাইয়াজের বাবা বরকত উল্লাহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র অধ্যক্ষের হাতে তুলে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী মনজুর কাদির জানান, ফাইয়াজের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ভর্তি সংক্রান্ত সকল দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছেন এবং আবরার ফাইয়াজের পরিবারকেও নিরাপত্তা শঙ্কামুক্ত হওয়ার আহ্বান করেছেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত ফাইয়াজের পিতা বরকত উল্লাহ কলেজ প্রধানের আশ^াসে আশ^স্ত হয়ে থাকতে চান এমন মত দিয়ে বলেন, কিছুক্ষণ আগেই কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে ঢাকা কলেজের ছাড়পত্র ও ছবিসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিয়েছি। উনারা ইতোমধ্যেই প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে রেখেছেন। সেজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে আমি ধন্যবাদ জানায়।
এসময় তিনি আরো বলেন, দেখুন কে-ই বা পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনভর অজানা শঙ্কায় দিন কাটাতে চায়? এখানে ভর্তি করে ফাইয়াজ পরিবারের সান্নিধ্যে থেকে পড়ালেখা করুন এটা ওর মা’য়েরও চাওয়া। ফাইয়াজকে যখন ঢাকা কলেজে ভর্তি করি তখন বড় ভাই আবরার ফাহাদ নিজের কাছে রেখে ওকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলো। এখন সে নেই, সে কারণে ফাইজও একা ঢাকা থাকতে ইচ্ছুক না। তাছাড়া ওর মা রোকেয়া খাতুনের শারীরিক ও মানসিক অবস্থাও খুব খারাপ। বড্ড বেশী ভেঙে পড়েছে। সেই সাথে এক অজানা নিরাপত্তার শঙ্কা তো আছেই। সে কারণে সব বিষয় চিন্তা করেই ফাইয়াজকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসলাম।
একদিকে শঙ্কামুক্ত থাকতে চাই এবং আমাদের ছেলে আমাদের কাছেই থাকে সেজন্যই ওকে এখানে ভর্তি করালাম। এছাড়া ওর লেখাপড়ার খোঁজখবর নেয়ার তো আর কেউ নেই সেজন্য আমরাই এখন ওর পড়ালেখার খেয়াল রাখতে পারবো।