মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ : উত্তীর্ণ ৪৯ হাজার ৪১৩

ঢাকা মেডিকেলে চুয়াডাঙ্গার ৩ জনের চমক : বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে আরও ১৩
স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথমবর্ষে (২০১৯-২০) ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এ বছর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন। প্রাপ্ত তথ্য মতে, এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ জন ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার মধ্যে তিনজন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে চমক সৃষ্টি করেছেন। এবার ৭২ হাজার ৯২৮ জন পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র নিয়েছিলেন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন। যারা ৪০ এর বেশি নম্বর পেয়েছেন তারাই উত্তীর্ণ হয়েছেন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছেলে ২২ হাজার ৮৮২ জন এবং মেয়ে ২৬ হাজার ৫৩১ জন। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ প্রকাশের সময় জানান, উত্তীর্ণ সবার মোবাইল নম্বরে ফলাফলের তথ্য পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে ওয়েবসাইটেও ফল জানা যাবে। তিনি বলেন, উত্তীর্ণরা মেধাক্রম অনুসারে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন। বাকিরা বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। উত্তীর্ণদের মধ্যে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৯০.৫ নম্বর পেয়ে একজন ছেলে প্রথম হয়েছেন। মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন ৮৯। ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে চার হাজার ৬৮টি। আর বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ছয় হাজার ৩৩৯টি।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার যে তিনজন সরকারি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন তারা হলেন চুয়াডাঙ্গা ইমার্জেন্সি রোডের খসরু বাগের বাসিন্দা নাসির খসরু ও নাসিমা মরিয়মের ছেলে কাইসান খসরু, দামুড়হুদা নতুন হাউলীর জান মোহাম্মদ ও হুসনে শামীমের মেয়ে ফারজানা আক্তার রুমা এবং চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার শফিকুল ইসলাম ও ফাতেমা খাতুনের মেয়ে মাইমুনা ইসলাম। এদের মধ্যে কাইসান খসরু মেধা তালিকায় হয়েছে ৮৮তম। কাইসান খসরুর মা ফুলকুড়ি শিশু বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। তার স্কোর ২৮০ দশমিক ৫। রুমা হয়েছে ১১৫। তার স্কোর ২৭৯ দশমিক ৭৫। মাইমুনা মেধা তালিকায় ১৯৮। স্কোর ২৭৮ দশমিক ৫ শূন্য। এছাড়া দামুড়হুদা উজিরপুরের আবুল কাশেম ও তাহমিনা বেগমের মেয়ে শিউলী খাতুন এবং সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের গোলাম হোসেন ও মমতাজ খাতুনের ছেলে নাসিম আল মামুন সোহরোওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে, চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ার আব্দুল মোত্তালিব ও মারুফা বেগমের মেয়ে সারাবান তহুরা রেফা এবং ডা. ফকির মোহাম্মদের ছেলে নাফিজ ফুয়াদ ঢাকা মুগদা মেডিকেল কলেজে, পোস্ট অফিসপাড়ার শামীম ফেরদৌস ও শরিফা আক্তারের মেয়ে তানজিয়া তাসমীম চাঁদনী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে, ঈদগাপাড়ার অসীম ম-ল ও উত্তরা দত্তের মেয়ে চৈতি ম-ল এবং আলমডাঙ্গা মাদরাসাপাড়ার আব্দুস সাত্তার ও আমেনা বেগমের ছেলে মাসুদ আলী বরিশাল মেডিকেল কলেজে, চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ার আব্দুস সামাদ ও শাহানা সামাদের ছেলে তরফদার মোহাম্মদ ফয়সাল খুলনা মেডিকেল কলেজে, সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা গ্রামের সেলিম উদ্দিন ও রহিমা খাতুনের ছেলে আব্দুল মুত্তালিব দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে, সরিষাডাঙ্গার আশরাফুল হোসেন ও নাছিমা খাতুনের ছেলে সুজন আলী যশোর মেডিকেল কলেজে, দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার আমিনুর ইসলাম ও রোজিনা বেগমের ছেলে রাকিবুল ইসলাম নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে, সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের রণগোহাইল গ্রামের নিজাম-উল হক ও তছলিমা খাতুনের ছেলে তসলিমুল ইসলাম নিমু নীলফামারী মেডিকেল কলেজে এবং জীবননগর হাইস্কুলপাড়ার মুন্সী আব্দুল হালিম লাল্টুু ও নাসরিন আক্তারের মেয়ে তাসনিম তামান্না লিনা নওগাঁ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলা থেকে এবার মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দুজন। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে এ দুজনের নির্বাচিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাসনিম তামান্না লিনা নওগাঁ মেডিকেল কলেজে ও নাসিম আল মামুন সোহরোওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তাসনিম তামান্না লিনা জীবননগর হাইস্কুলপাড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুন্সী আব্দুল হালিম লাল্টুু ও গৃহিনী নাসরিন আক্তারের মেজ মেয়ে ও সাংবাদিক এমআর বাবুর ভাতিজি। অপরদিকে নাসিম আল মামুন উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের গোলাম হোসেন ও গৃহিনী মমতাজ খাতুনের ছেলে। তারা বর্তমানে জীবননগর কোর্টপাড়ায় বসবাস করেন।