বিনোদন ডেস্ক: চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে শিল্পী সমিতিতে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় বিএফডিসিতে খল অভিনেতা ড্যানি রাজ এই নায়িকার সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে মৌসুমীকে তিনি ধাক্কা মারেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত বিএফডিসিতে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে অনাকাক্ষিত এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ড্যানি রাজ।
জানা গেছে, চিত্রনায়িকা মৌসুমী এবার সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার বিকেলে মৌসুমীকে শুভেচ্ছা জানাতে শিল্পী সমিতিতে আসেন তার কয়েকজন ভক্ত। এসময় শিল্পী সমিতিতে তাদের প্রবেশ নিয়ে ড্যানি রাজ অশালীন ভাষায় গালাগালি করেন। একপর্যায়ে তিনি মৌসুমীকে ধাক্কাও মারেন। এসময় ঘটনাস্থলে মিশা সওদাগর, জয়সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আমি প্রচারণার জন্য এফডিসিতে ছিলাম। আমাকে শুভ কামনা জানাতে আমার এক বড় আপা এবং কয়েকজন ভক্ত ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে এফডিসিতে আসেন। তারা সমিতিতে আমার সঙ্গে সেলফি তুলে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক ওই সময় ড্যানি রাজ অশালীন আচরণ করেন। তাদের সামনে আমাকে অপমান করেন। আঙুল তুলে আমাকে বলেন, ‘হু আর ইউ?’ এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে একজন শিল্পীর কাছ থেকে এ ধরনের ব্যবহার আশাই করা যায় না।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইলিয়াস কোবরা বলেন, ‘যে কেউ যে কাউকে শুভেচ্ছা জানাতে আসতেই পারে। কেউ যদি আমাকে এফডিসিতে ফুল দিয়ে নির্বাচনের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে আসে আমি মনে করি সেটা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার। সেখানে অন্যজন কেন আপত্তি জানাবে বা এ নিয়ে ঝগড়া-অপমান করবে? ড্যানিরাজের এ আচরণ করার তো কোনো যুক্তিই দেখি না। আমি লজ্জিত মৌসুমীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায়।’ মৌসুমীকে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করে সমিতির বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু লোক অনেকক্ষণ ধরে সমিতিতে এসে বসেছিলেন। এটা নিয়েই কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আমার সামনে কোনো ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে মৌসুমীকে ‘আপনি কে?’ এমন প্রশ্ন ড্যানি করেছে। এটা ড্যানির বেয়াদবি। একজন শিল্পীর কাছে এমন আচরণ কাম্য নয়।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ অক্টোবর। গত ৫ অক্টোবর। খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন— অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।