কুড়ুলগাছি/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের চাকুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্মার্টস্কুল রূপে রূপান্তর করা হলো। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে উপজেলার প্রথম কোনো বিদ্যালয়কে স্মার্ট স্কুল রূপে রূপান্তর করা হলো। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শিশুরা যাতে স্কুলে গিয়ে আনন্দ পায় এবং স্কুলে গিয়ে যাতে সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে পারে সেজন্য তাদের জন্য কিছু করার প্রয়োজন। তাদের জন্য কিছু করাটা গর্বের বিষয়। আজকের শিশু আগামীদিনের জন্য ভবিষ্যত। তাদের শাসন করে চাপ দিয়ে নয় আদর করে মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে। তাদের হেসে খেলে বেড়ে উঠতে দিতে হবে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে হবে। একই সাথে বাল্যবিয়ে রোধে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকি সালাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার সেলিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ এনামুল করিম ইনু, ইউপি সদস্য সেকারুদ্দিন, প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান, শিক্ষবৃন্দ। প্রতিটি স্কুলের মতো এই স্কুলে রয়েছে স্মার্ট ক্লাসরুম। শিশুদের কলরবে মুখরিত স্কুলটিতে নতুন কিছুর প্রাণ সঞ্চার করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিদ্যালয়টিকে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে আলাদাভাবে শোভা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে প্রাচীর জুড়ে রঙ তুলি দিয়ে শিল্পী একেঁছেন রঙধনুর সাতরঙ। স্কুলে প্রবেশ করার প্রধান ফটক বাহারি ফুলের ছবি দৃষ্টি কাড়বে সবার। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকি সালাম বলেন, এই স্কুলটি অন্য স্কুলের মতো রঙে রাঙানো হয়েছে। স্কুলের প্রতিটি ক্লাসরুমে কম্পিউটার আছে। ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বইয়ের সফট ভার্সন দেয়া আছে কম্পিউটারে। মহানুভতার দেয়াল আছে এখানে। স্টুডেন্ট অব দ্য ডে চালু আছে। স্টুডেন্ট অব দ্য মাসিক, জানতে চাই কর্নার, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার, বঙ্গবন্ধু কর্নার, ছোটদের খেলাধুলার ঘর, বুক কর্নার, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন, স্মার্ট আইডি কার্ড শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের, প্রত্যেক ক্লাসরুমে সিসি ক্যামেরা, ডিজিটাল ঘণ্টা, পুরো স্কুলটি সাউন্ড সিস্টেম। প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান জানান, উপজেলা পরিষদ থেকে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছিলাম স্মার্টস্কুলে রূপান্তর করার জন্য।