চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের সাথে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের বিশেষ আলোচনা

অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নেয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ
স্টাফ রিপোর্টার: রোগী বহনে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নির্ধারণের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একইসাথে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের যখন তখন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে স্বাক্ষাতও বন্ধ করা হচ্ছে। তাছাড়া দালালচক্রের উৎপাত ঠেকাতে নেয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ হাসপাতাল এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট, দালাল চাক্রের উৎপাত ও রিপ্রেজন্টটিটিদের ভিড় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন এসব পদক্ষেপের কথা জানিয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের রোশানলে পড়ে একজনের অপমৃত্যু ঘটে। সিন্ডিকেট নিজেদের মনগড়া ভাড়া আদায় করে রোগী ও রোগীর লোকজনের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়। সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স অপ্রতুলতার সুযোগে বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিকেরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া সদর হাসপাতালে অসংখ্য দালাল প্রায় সব সময়ই ঘুর ঘুর করে। সরল সোজা রোগী পেলেই দালাল চক্র তাদের নিয়ে যায় নির্ধারিত ডায়গোনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিকে। আর যখন হাসপাতালে রোগীর ভিড় থাকে উপচেপড়া তখনও বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের সাথে স্বাক্ষাত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পরিস্থিতিকে বেশামাল করে তোলেন। এসব থেকে রোগী সাধারণকে নিস্তার দিতে করণী জানতে চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ গতকাল বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান এসময় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দর বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনেন। বেশ ক’জন সাংবাদিকও এসময় উপস্থিত হন। সিভিল সার্জন সাংবাদিক, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দসহ শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা করে চুয়াডাঙ্গা থেকে বাইরে রোগী বহনের সময় অ্যাম্বুলেন্সের ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, দু-একদিনের মধ্যেই আলোচনা করে ভাড়া নির্ধারণ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করছি। তাছাড়া ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের নির্ধারিত সময়ের বাইরে যাতে কোনো চিকিৎসের সাথে সাক্ষাত করতে না পারেন সে বিষয়েও নতুন করে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হবে। একই সাথে পর্যবেক্ষণও করা হবে। তাছাড়া দালাল চক্রের উৎপাত রোধে দরকার সকলের সহযোগিতা। সকলের সহযোগিতা পেলে প্রশাসনের মাধ্যমে ওদের শাস্তির বিষয়টিও যাতে নিশ্চিত হয় সে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আলোচনার সভায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, সাবেক সদস্য ইমদাদুল হক স্বজলসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এসময় আবাসিক সিনিয়র মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ, সার্জারি সিনিয়র কলনসালটেন ডা. আওলিয়ার রহমান নয়ন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় উপস্থিত হয়ে মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তার গৃহিত পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।