র‌্যাব ও পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান নারীসহ আটক ৭

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে র‌্যাব পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ র‌্যাব পৃথক অভিযানে ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে মাদকদ্রব্যসহ নারীসহ দুজনকে আটক করেছে। এছাড়াও দামুড়হুদা, দর্শনা ও কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে আরও ৫ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহ র‌্যাব ও দর্শনা আইসি পুলিশ মাদকবিরোধী পৃথক অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে আকন্দবাড়িয়ার শিউলীকে ও ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়েছে দর্শনা ইসলাম বাজারপাড়ার রাজিবকে। থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে আটককৃতদের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা পৌর এলাকার ইসলাম বাজার এলাকায়। পুলিশ দর্শনা বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে গ্রেফতার করা হয় ইসলাম বাজারপাড়ার মিস্টার ওরফে মাহবুবের ছেলে রাজিবকে (২৫)। রাজিবের কাছ থেকে ৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত রাজিবের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গতপরশু বুধবার রাত ১২টার দিকে ঝিনাইদাহ র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ও স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি বজলুর রশীদের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামে। র‌্যাব সদস্যরা আকন্দবাড়িয়ার আকবর আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে (৩৩) আটক করেছে তার বসতবাড়ি থেকে। শিউলীর কাছ থেকে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধারের তথ্য দেয়া হয়েছে র‌্যাবের পক্ষ থেকে। এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষে বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আটককৃত শিউলীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলা।
অপরদিকে, ঝিনাইদহ র‌্যাব ঝিনাইদহ পুরাতন হাটখোলা থেকে ৩০ লিটার বাংলা মদসহ এক মাদকব্যবসায়ীকে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ও স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বজলুর রশীদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আটক করে। আটক ব্যক্তি ঝিনইদহ পৌর এলাকার হামদহ দাসপাড়ার পিল্লাত কুমার দাসের ছেলে বিকাশ কুমার দাস। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দামুড়হুদা ব্যুরো জানিয়েছে, দামুড়হুদায় ৮২ বোতল ফেনসিডিলসহ নুরুল ইসলাম কাজী (২২) নামের এক ফেনসিডিল বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই কামরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুরস্থ তেলপাম্পের সামনে থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ফেনসিডিল বিক্রেতা নুরুল ইসলাম কাজীর রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দের মান্নান কাজীর ছেলে। তাকে মামলাসহ গতকাল দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা পৃথক মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৫০ পিস ইয়াবাসহ তারিক ও মাহাবুব নামে দুই মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। আলোচিত দুই মাদকব্যবসায়ী হলো দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে তারিক (৩৭) ও কুড়ুলগাছির চাকুলিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মাহাবুব (২০)। কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল বৃহস্পতিবারে বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে অভিযানে বের হন। এমন সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর জানতে পারি আলোচিত মাদকব্যবসায়ী মাহাবুব চাকুলিয়া থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসছে তারিকের বাড়িতে এ সংবাদে পেয়ে আমরা তারিকের বাড়িতে তল্লাশি করি। তার বাড়ি তল্লাশি করে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাদেরকে আটক করি। এ বিষয়ে এসআই সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।