নিজের সেলফোন নিজের কাছে, পিন নম্বর অর্থাৎ যে কোড না দিলে টাকা লেনদেন হওয়ার কথা নয়। কেউ জানে না। অথচ নিজের বিকাশ হিসেব থেকে উধাও হয়ে গেলো ১৩ হাজার টাকা। কীভাবে? সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক জবাব জানা না গেলে শুধু বিকাশ নয়, পুরো মোবাইল ব্যাংকিঙটাই পড়বে বিশ্বাস- অবিশ্বাসের দোলাচালে। আর যাই হোক অর্থনৈতিক লেনদেন বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচালে পড়লে তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
সুপ্রাচীনকাল থেকেই মুদ্রার প্রচলন। যা অপরিহার্য। শুধু অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের জন্যই নয়, মুদ্রা আর্থ সমাজিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ারও ফসল। যা কালের বিবর্তনে প্রয়োজনের তাগিদেই এর আকার আকৃতি বদলেছে। কড়ি এসেছে, এসেছে ধাতবমুদ্রা। এখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই কাগজের মুদ্রার প্রচলন। এরপর? কি আসছে তা সঠিকভাবে বলা না গেলেও ধাতব ও কাগজের মুদ্রা যে বিদায় নিতে বসেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। ব্যাঙ্কিঙ থেকে শুরু করে কেনা কাটার ক্ষেত্রে সেলফোনের ক্ষুদ্র ম্যাসেজেরে মাধ্যমে বিনিময় মূল্য অনায়াসেই পরিশোধ করা যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে এটাই স্বাভাবিক। এ স্বাভাবিকগতির মুখে কিছু প্রতিবন্ধকতা অমূলক নয়। কেন না, বিনিময় মূল্য পরিশোধ কিম্বা আদান প্রদান শুরুর সেই সুপ্রচীনকালেও অসচেতনদের সামনে বিষটি জটিলরূপ নিলেও কালক্রমে তা সহজ হয়েছে। বিবর্তনের ঝড় যখনই ওঠে তখনই কিছু প্রতারক সুযোগ খুজতে থাকে। সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের মুদ্রা। সম্প্রতিকালে বিকাশ নামের সেলফোন লেনদেনেও এমনটি ঘটছে। দ্রুত প্রতিরোধ করতে না পারলে এ লেনদেন যে মুখ থুবড়ে পড়বে তা বলাই বাহূল্য।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার একজন সবেতন ব্যক্তির বিকাশ হিসেব থেকে ১৩ হাজার টাকা উধাও হয়েছে। তার অজ্ঞাতবসে কয়েকটি নম্বরে পেমেণ্ট হয়ে চলেও জানতে পেরেছেন তিনি। অথচ ওই পরিশোধের সাথে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নন তিনি। তা হলে কি প্রতারক চক্র? যদি তাই হয় তা হলে প্রতারক চক্র নিশ্চয় বিকাশ পরিচালনাকারী সংস্থার অন্দরে ঢুকতে সক্ষম। তা না হলে টাকা হাতালো কীভাবে? সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।