ক্লান্ত কাঠুরিয়া রোদ ঝলমল দুপুরেও জ্বালাতে বাধ্য হলেন কয়েল

Exif_JPEG_420

আনোয়ার হোসেন: কাজের ফাঁকে একটু জিড়িয়ে নেবে তারও জো নেই। মশার উৎপাত। চুয়াডাঙ্গায় শরতের রোদ ঝলমলে দুপুরেও মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে ক্লান্ত কাঠুরিয়া বাধ্য হয়েই জ্বালিয়ে নিয়েছেন কয়েল। দৃশ্যটি গতপরশু বুধবার দুপুরে দৈনিক মাথাভাঙ্গা দফতর সংলগ্ন ফ্যামিলি পার্কের বৃক্ষরাজীর ছায়ায় ফুটে ওঠে।
মাথাভাঙ্গা এলাকা পাখিদের অভ্যয়রণ্য হিসেবে চিহ্নিত। অসংখ্য গাছের কিছু অংশ কাটার সময় ক্লান্ত হয়ে ভ্যানের ওপর কয়েল জ্বালিয়ে শরীর এলানো কাঠুরিয়া পচা মিয়া চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকারই সাতগাড়ির বাসিন্দা। কয়েকদিন ধরেই ৬/৭ জন সহকর্মীকে সাথে নিয়ে তিনি গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত। বুধবার রোদ ঝলমল দুপুরে খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিতে ভ্যানের ওপর বসেন। মশার উৎপাত ঠেকাতে দোকান থেকে কিনে আনেন কয়েল। সেটা জ্বালিয়েই শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর যখন ক্যামেরা নিয়ে প্রতিবেদক তার পাশে; তখন তিনি মোড়া দিয়ে উঠে বললেন, মশা আর মশা। মশার কামড় থেকে বাঁচতেই দিনে দুপুরে এ ব্যবস্থা।
কাঠুরিয়া পচা মিয়ার পাশে থাকা অন্য শ্রমিকরাও সুযোগ পেয়ে উগরে দিলেন ক্ষোভ। বললেন, শুনেছি মশা নিধনে নানা কর্মসূচি চলছে। ডেঙ্গু থেকে পৌরবাসীকে রক্ষার উদ্যোগের খবর পত্রিকায় ছাপানোও হচ্ছে। এরপরও দিবালোকেই এখানে মশার যে উৎপাত তাতে মশা নিধনের কর্মকা- কতোটুকু হচ্ছে তা বুঝতে বাকি থাকছে না। তাছাড়া সন্ধ্যার পর বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বর, নিচের বাজারসহ আশেপাশে ঘুরলে মশার অত্যাচারে দিশেহারা হওয়ার অবস্থা।