স্টাফ রিপোর্টার: ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ সেøাগানে চুয়াডাঙ্গায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে, সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে একজন ডিলার এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের একজন ডিলার চাল বিক্রি না করায় বিপাকে পড়েছেন প্রায় ৯০০ কার্ডধারী হতদরিদ্র ব্যক্তি।
গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩০ হাজার ৮৫৬ পরিবারকে ৭৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করার কথা। অথচ, সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুজন চাল ডিলারের মধ্যে একজন সরোজগঞ্জ বাজারের মুকুল হোসেন ৫৩২ পরিবারের চাল বিক্রি করার কথা ছিলো। কিন্তু স্থান নির্বাচন নিয়ে জটিলতা থাকায় চাল বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। একইভাবে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের একজন ডিলার রবিউল ইসলাম চাল উত্তোলন না করায় ওই ইউনিয়নের ৩৭৮ পরিবার চাল ক্রয় করতে পারেনি। একইভাবে তারা পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে, কুতুবপুর ইউনিয়নে যদুপুর গ্রামের তক্কেল মল্লিক, আব্দুল লতিফ, মহির আলী, তহির আলী ও ইছাহাক আলীসহ আরো অনেকে ৭ থেকে ১১ কিস্তি চাল পেয়েছেন। জলিবিলা এলাকার জুয়েল, আনিসা, একরামুলসহ ৭জন অন্যত্র চলে যাওয়ায় একবারও চাল উত্তোলন করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে, ডিলার মুকুল হোসেন সব চালই উত্তোলন করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল ইসলাম বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়নে স্থান জটিলতায় চাল বিক্রি করতে পারেনি। তবে কাল (মঙ্গলবার) চাল বিক্রি হবে তহসিল অফিসে। অপরদিকে, চিৎলা ইউনিয়নে রবিউল ইসলাম চাল উত্তোলন না করায় এখন আর তিনি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া চাল উত্তোলন করতে পারবেন না। এ চাল সপ্তাহে তিনদিন বিক্রি করতে পারবেন ৩০ কেজি করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে চাল বিক্রির বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হলেও ডিলার তা পরে মানতে চাইনি। সেকারণে চাল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি প্রকৃতরা যেনো পায়। চাল বিতরণের সময় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবো এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। কে পেলো বুঝতে পারবো।
এ ব্যাপারে ডিলার মুকুল হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।