চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুরে একই স্থানে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ সমাবেশ ডাকায় উত্তেজনা

উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ : পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ একই স্থানে সভা ডাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে দু’পক্ষ পৃথক দুটি স্থানে সভা করে। এই ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের লোকজনের ওপর হামলা ও রেলগেট ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িবহর আটকে রাখার অভিযোগ করেছে। অপর দিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করেছেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নান্নু।
গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ দু’পক্ষ নীলমণিগঞ্জ শহীদ রবিউল ইসলাম মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সমাবেশ ডাকে। এ নিয়ে সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান জানান, নীলমণিগঞ্জ শহীদ রবিউল ইসলাম মিলনায়তন প্রাঙ্গণে মোমিনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ সভা করার ঘোষণা দেয়। সংঘর্ষের আশঙ্কায় ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় স্থান পরিবর্তন করে দুপক্ষকে পৃথক স্থানে সমাবেশ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস জানান, মোমিনপুর ইউনিয়নে গত ৪দিন যাবত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভার প্রচার করা হয়। ওই স্থানে অপর পক্ষ সভার আয়োজন করে। গতকাল রোববার মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান জেলা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের বাড়ির পাশে আমবাগানে সভাস্থলে যাচ্ছিলাম। এ সময় মোমিনপুর রেলগেটের নিকট নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমার গাড়িবহর পৌঁছুনো মাত্র ১০/১২ জন গতিরোধ করে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে আটকে রেখে আমার নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নান্নু জানান, গতকাল মোমিনপুর রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজেন কর্মী সমাবেশ ডাকা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাসের আসার খবরে মোমিনপুর রেলগেটে নেতাকর্মীদের নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় ট্রেন আসায় রেলগেট ফেলে দেন গেটম্যান। এ সময় জেলা আ.লীগ সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাসের নিকট কথা বলতে যাই এবং জানতে চাই উপজেলা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কিভাবে আপনি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি করছেন। এ সময় তিনি কোনো কথাও বলেননি এবং গাড়ি থেকেও নামেননি। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, আমার সাথে থাকা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের সরিষাডাঙ্গা আমবাগানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠনের প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। জামাত জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আ.লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিউদ্দীন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্মআহবায়ক মতিয়ার রহমান মতি প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ।