দর্শনায় যুবলীগকর্মী পল্টু হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি সংবলিত পোস্টার-ফেস্টুন ছেড়ার অভিযোগ

দর্শনা অফিস: দর্শনায় যুবলীগকর্মী পল্টু হত্যাকান্ডের ১৮ দিনের মাথায় সোহেলকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। উচ্চ আদালতের জামিননামা থাকায় অবশেষে ছেড়ে দিতে হলো তাকে। এদিকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি সংবলিত পোস্টার-ফেস্টুন ছেড়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৩ আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন রুস্তমের হোটেলের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর পশ্চিমপাড়ার আ. রউফের ছেলে যুবলীগকর্মী নঈমুদ্দিন পল্টুকে। ২৪ আগস্ট নিহতের বড়ভাই দর্শনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঈনুদ্দিন আহমেদ মন্টু বাদি হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আসামি করা হয় দর্শনা পৌর এলাকার মোবারকপাড়ার আলী হোসেনের খানের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক আ. মান্নান খান, একইপাড়ার কবির খালাশির ছেলে দর্শনা পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতা, দর্শনা পুরাতন বাজারপাড়ার জিয়াউল হকের ছেলে যুবলীগনেতা রাসেল রেজা দিপু, মোবারকপাড়ার আ. রাজ্জাক কম্পাউন্ডারের ছেলে বাংলা, একই পাড়ার বাদল খানের ছেলে আলম, শামসুল হকের ছেলে সোহেল ও ইমারত হোসেনের ছেলে আশিকসহ অজ্ঞাত ৮-৯ জনকে। গত পরশু মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসআই মহব্বত আলী অভিযান চালান দর্শনা মোবারকপাড়াস্থ আসামি সোহেলের বাড়িতে। বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সোহেলকে। তাকে গ্রেফতারের পরপরই তার পিতা উচ্চ আদালতের জামিননামা নিয়ে হাজির হন থানায়। পুলিশ দিনভর ওই জামিননামা যাচাই বাছাই করে শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয় সোহেলকে।
পল্টু হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৭ আসামিই উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নি¤œ আদালতে হাজির হয়ে ফ্রেস জামিনের আবেদন করার জন্যও বলা হয়েছে। এদিকে পল্টু হত্যা মামলার বাদি মঈনুদ্দিন মন্টু অভিযোগ করে বলেছেন, তার ভাই পল্টু হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে দর্শনাবাসী পোস্টার ও ফেস্টুন লাগায়। বুধবার রাতে এ পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।