আলমডাঙ্গায় শিলাপড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপনের কাজ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর, ডাউকী, জামজামি, খাসকররা ও বেলগাছি ইউনিয়নে গত বুধবার রাতের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ শুরু হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের অনেকেই সরেজমিন পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, গতপরশু রাতে শিলা পড়ে এলাকার বহু টিনের চাল যেমন ঝাঁজরা হয়ে গেছে, তেমনই মাঠের বিপুল পরিমাণের ধানের আবাদ ন্যূয়ে পড়েছে। বাইল থেকে ধান ঝরে গেছে।
জানা গেছে, গতপরশু রাত আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে ঝড়ো হাওয়াসহ ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে আলমডাঙ্গার বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমি বন্দোবস্ত নিয়ে ঋণ করে আবাদ করা ধানক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকদের অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে মাথায় হাত তুলেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ধানক্ষেত দেখতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত মান্নান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিজানুর রহমান ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্ত ধানক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।
কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শমসের আলীর ২ বিঘা, আজিবরের ১২ কাঠা, কলিমউদ্দিনের ১০ কাঠা, মনসুর আলীর ৮ কাঠা এবং আজিরন খাতুনের ৮কাঠা জমির বোরো ধানসহ এলাকার বহু কৃষকের ধান শিলাবৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে। একইভাবে বসত ঘরবাড়ির টিনের চালে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম জানান, চলতি মরসুমে বোরো আবাদের মাঝামাঝি সময়ে ধানক্ষেতে ব্লাস্ট দেখা দেয়। এরপর গত বুধবার রাতের শিলাবৃষ্টিতে ৩শ’ বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষতিগ্রস্ত ধানক্ষেতের তথ্য সংগ্রহ করছেন।