স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ও বিদেশে পালিয়ে থাকা তারেক রহমানকে দেশে আসতেই হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার সকালে আটদিনের সফর শেষে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের নেতাকর্মীরা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবনে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া নেতারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপস্থিত নেতাদের তথ্য অনুযায়ী, তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। এ সময় দলের নেতারা যুক্তরাজ্য সফরকালে তারেক রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে বলে জানান। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারেককে দেশে ফিরে আসতেই হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেয়নি। আজ সেই ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।’ দলের নেতাদের লেখালেখির মাধ্যমে অপপ্রচারের জবাব দিতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে আজকে সবাই এক ধরনের সাংবাদিক।
এ সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জানালে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তুমি! আর কেউ ছিলো না?’ উপস্থিত নেতারা বলেন, আপা সবাই তো দেশের বাইরে। শেখ হাসিনা জানতে চান- ‘একজন যুগ্মসাধারণ সম্পাদকও দেশে নাই?’ উত্তরে নেতারা না সূচক জবাব দিলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ও সেজন্যই তুমি।’
সাক্ষাৎ করতে যাওয়া নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।