স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় টিঅ্যান্ডটি অফিস গ্রাহকদের সার্ভিস না দিয়েই প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে পকেটস্থ করছে। বিগত ৬মাস যাবত ৩শ’ শতাধিক গ্রাহকদের কাছ থেকে এভাবে ৩ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলায় ২ হাজার ৩১২ জন টিঅ্যান্ডটির গ্রাহক রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট এলাকাসহ বেশকিছু স্থানে পৌরসভার পানির লাইন সম্প্রসারণের কাজের কারণে টিঅ্যান্ডটির তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই থেকে ৩শ’ শতাধিক গ্রাহক টিঅ্যান্ডটির কাছ থেকে কোনো সার্ভিস পাচ্ছে না। অথচ, ওই সকল গ্রাহকদের কাছে প্রতি মাসে সার্ভিস চার্জ বাবদ বিল পাঠিয়ে যাচ্ছে। অসহায় গ্রাহকরা মুখ বন্ধ করে টেলিফোন বিল ব্যাংকে জমা দিয়ে চলেছে। এ বিষয়ে গ্রাহকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বর্তমানে তারা টেলিফোন বিল না দিয়ে বিল মওকুফের দাবি তুলেছে।
চুয়াডাঙ্গা টিঅ্যান্ডটি অফিসের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইফতিখার মাহমুদ বলেন, গত ১ মাস আগে টিঅ্যান্ডটির চাকরি থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। বর্তমানে তিনি পাবনা পিডিবি অফিসে কর্মরত রয়েছেন।
টেলিফোন বিল মওকুফের বিষয়ে কুষ্টিয়া টিঅ্যান্ডটি অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, গ্রাহকদের বিল মওকুফের বিষয়ে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার বলতে পারবেন। এবিষয়ে তার সাথে কথা বলতে পরামর্শ দেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া টিঅ্যান্ডটির ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক বলেন, টেলিফোন লাইনের ফল্ট বের করতে পারছি না। তবে ফল্ট বের করার প্রচেষ্টা চলছে। বিল মওকুফের কোনো বিধান নেই। চুয়াডাঙ্গা অফিসের কর্মকর্তা চাকরি থেকে পদত্যাগ করায় ওই পদে লোক বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।