মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের কচুয়ারপোতা গ্রামের এক ছাত্রীকে ১৩ এপ্রিল বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে এক যুবক। ওই ঘটনায় জোরপূর্বক প্রভাবশালী মহল সালিশে বসতে বাধ্য করেছে ভিকটিম পরিবারকে।
জানা গেছে, একই গ্রামের প্রতিবেশী আরশাদ আলীর লম্পট ছেলে নুহু আলম (২২) ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মুখে কাপড় বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে চাইলেও এলাকার প্রভাবশালী মহল তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে দেয়নি। বরং গত ১৮ এপ্রিল গ্রামের মাতুব্বররা সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করতে বাধ্য করে। ভিকটিমের মা সাংবাদিকদের জানান, নুহু আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে মুখে কাপড় বেধে ঘরের দরজা আটকিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার মেয়ে চিৎকার করলে নুহু আমার মেয়েকে ছেড়ে দেয় এবং আমি তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। ঘটনার পর থেকে নুহুর পরিবার আমাকে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি আমি গ্রামের মাতব্বরদের জানিয়েছি। তারা আমাকে নিশ্চুপ থাকতে বলে।
গ্রামের এক ব্যক্তি জানান, নুহু এ কাজটি করে ভিকটিমের পরিবারের ওপর হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে এবং তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে দিচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন আরডিসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। তারা ভিকটিমের পরিবারকে আইনী সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে।
এ বিষয়ে কাজীরবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম সেলিম রেজার সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিস দরবার হয়েছে। ছেলেকে বেত্রাঘাত এবং অর্থদ- করা হয়েছে।