অপ্রাপ্তাকে অপহরণ মামলায় চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজপাড়ার ইরান ও তার চাচাতোভাই খাদিমপুরের মুকুলকে জেলহাজতে প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রেমিকের সাথে বিয়ে করিছি বলে প্রেমিকা দাবি করলেও তার পিতার পেশকৃত জন্মসনদসহ যাবতীয় প্রমাণপত্রে বিয়ের বয়স হতে এখনও বাকি ৪মাস। ফলে অপ্রাপ্ত বয়সীর দাবি আইনের চোখে অগ্রাহ্য। সে কারণে তাকে ফুঁসলে অপহরণ করার অভিযোগে প্রেমিক বলে দাবিদার চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজপাড়ার বাসিন্দা ইরানকে খেতে হচ্ছে হাজতের ভাত। আর তাকে সহযোগিতা করার জন্য তার চাচাতো ভাই মুকুলেরও বর্তমান ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের হাজতখানা।
গতকাল শনিবার সকালে তাকে ফরিদপুরের মধুখালী এলাকার সীমাখালী থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নেয়া হলেও সে তার পিতা মাতার কাছে জেতে রাজি হয়নি। আজ রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। পিতার জিম্মায় যেতে না চাইলে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। নিরাপত্তা হেফাজতেও পাঠানো হতে পারে তাকে। সে কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গেলেও অপ্রাপ্ত বয়সের হওয়ায় তার পরিচয় প্রকাশ করা হলো না। ১৮ বছর পূর্ণ হলে নিজের জিম্মায় নিজে মুক্ত হয়ে পছন্দের ঠিকানায় যাওয়ার সুযোগ পেতে পারে বলে জানিয়েছেন একজন আইনজীবী।
সূত্র বলেছে, ইরান (২৩) চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজপাড়ায় বসবাস করে আসছিলো। পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে অপ্রাপ্ত বয়সী অপহরণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়। গত ২৩ মার্চ পরীক্ষা দিতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। মামলার মূল আসামি করা হয় ইরানকে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ মধুখালী থানা পুলিশের সহযোগিতায় ইরানের চাচাতোভাই মুকুলের বাসা থেকে ইরানকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় অপহৃতাকে। একই সাথে গ্রেফতার করা হয় মুকুলকে। সে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা খাদিমপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। ইরান ও মুকুলকে গতকাল শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।