স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার খাসকররা বাজারের আজ শনিবার দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়ায় এ ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানিয়ে খাসকররা বাজারে যেহেতু মালিকানা জমিতে ব্যবসা করে আসছে। এখানে খাস জমি নেই। এ যাবৎ পর্যন্ত বাজারের দোকানদার কোনো খাজনা দেয় না। আজ হঠাৎ খাজনা আদায়ের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার খাজনা আদায়ের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বাজারের ব্যবসীয়দের উদ্দেশে মাইকিং করা হয়। খাসকররা গ্রামের নান্নু মাইকে প্রচার করেন এ বছর খাসকররা বাজার ইজারা হয়নি। সে মোতাবেক খাস কালেকশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামীকাল (আজ) শনিবার থেকে বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ টাকা হারে খাজনা আদায় করা হবে। আদেশক্রমে জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা। এ খবর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মাঝে পৌঁছুলে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় শনিবার সকল দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। বিকেলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের কাছ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে কোনো মাইকিং করা হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে খাসকররা গ্রামের নান্নুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইলফোনে বলেন, চেয়ারম্যান মাইকিং করতে বলেছেন, আমি প্রচার করেছি। এর বেশি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু এবার বাজার ডাক হয়নি সেজন্য খাস কালেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আমি ওই কমিটির একজন সদস্য। উপজেলা প্রশাসন থেকে খাজনা আদায়ের বিষয়ে মাইকিং করতে বলা হয়। এজন্যই মাইকিং করা হয়েছে। তবে নীতিমালায় না থাকলে খাজনা আদায় করা হবে না।
খাসকররা বাজার কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, আমাদের বাজারে সবাই মালিকানা জমিতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে আসছে। বাজারে মাত্র ৩৩ শতাংশ খাসজমি রয়েছে। তাও আবার কাঁচাবাজারে। এ পর্যন্ত কোনো ইজারাদার দোকানপাট থেকে খাজনা আদায় করেনি। খাজনা আদায়ের নিয়মও নেই। যেহেতু সবাই মালিকানা জমিতে ব্যবসা করছে তাই খাজনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে খাজনা আদায়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ শনিবার সারাদিন সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিকেলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করে তাহলে পরবর্তীতে কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।