সাকিবরা ১ নম্বর দ্বিতীয় মোস্তাফিজরা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ডেথ ওভারে দারুণ কার্যকরী স্লোয়ার, কাটার ও ইয়র্কার। জেমস ফকনারের চেয়ে এ কথা আর কে ভালো করে জানে। এসব করেই তো ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সেরা সাফল্য পেয়েছেন তিনি। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তার বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। বগলদাবা করেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

টি-টোয়েন্টিতেও স্লগ ওভারে স্লোয়ার, কাটার ও ইয়র্কার ভীষণ কার্যকর। সর্বোপরি আইপিএলে এ ধরনের বোলিং সবচেয়ে কার্যকরী বলে মনে করেন ফকনার। তার দৃষ্টিতে ভারতীয় জমজমাট ঘরোয়া লিগটিতে সেরা বোলিং আক্রমণ সাকিবদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারপরে সেরা মোস্তাফিজদের মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

হায়দরাবাদে আছেন ভুবনেশ্বর, সাকিব, রশিদের মতো বোলার। এ কারণেই দলটির বোলিং আক্রমণকে এগিয়ে রাখছেন ফকনার, বোলিং আক্রমণ আমলে নিলে এবার সবচেয়ে সেরা হায়দরাবাদ। আইপিএল ছাড়াও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ভালো করছেন ভুবনেশ্বর। কব্জির স্পিনাররাও দুর্দান্ত করছেন। রশিদ-সাকিবরা ভালো করছেন। টের পাচ্ছেন, টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষ বোলার কে?

একটু মাথা ঘামালেই অজি অলরাউন্ডারের জবাব মিলবে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বোলারদের র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে রশিদ। অর্থাৎ এ আফগান লেগস্পিনারই যে সবার সেরা তা না বললেও চলে। প্রথম দিকে আছেন ভুবিও। অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে তো ওপরেই আছেন সাকিব। এ ছাড়া সিদ্ধার্থ, হুদা ও নবীরাও বল হাতে জ্বলে উঠতে পারেন।

হায়দরাবাদের পরেই মুম্বাইয়ের বোলিং আক্রমণকে এগিয়ে রাখছেন ফকনার। মাথা খাটালে তাও পরিষ্কার হয়ে ওঠে। ‘ডেথ’ ওভারে তাদের সেরা বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্লেষকের দায়িত্ব পালন করা এ পেসার বলেন, মুম্বাইয়ে দুজন ভালো ডেথ বোলার আছে। তাদের একজন বিশ্বের এক নম্বর, অন্যজন দুই নম্বর।’

এ ছাড়া মৈনাক মারাকান্দে তো আছেনই। ইতোমধ্যে হইচই ফেলে দিয়েছেন এ লেগস্পিনার।