বিদেশি টুকরো খবর

সিরিয়ার অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালালো ইরাক

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস ও আইএসআইএল’র স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইরাক। সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে গতকাল বৃহস্পতিবার এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে সিরিয়া সরকারের অনুমতি নিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাকি সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইরাকি সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ হায়দার আল আবাদির (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়। এতে ইরাকি সেনারা বিরোচিতভাবে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় আঘাত হানে।

ইরাকি সেনাবাহিনীর এ হামলার সময় সন্ত্রাসীরা মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছিলো বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর দক্ষতার কাছে তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।

তবে এ হামলার আইএসআইএস বা আইএসআইএল এর কোনো সদস্য নিহত হয়েছে কিনা বা তাদের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানানো হয়নি। হামলায় ইরাকি সামরিক বাহিনীর এফ-১২ ফাইটের জেট ব্যবহার করা হয়।

ইরানে রাসায়নিক হামলা: চুপ ছিল যুক্তরাষ্ট্র

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিমান হামলা চালিয়েছে তিন দেশ। গত শনিবার ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন যৌথভাবে প্রায় ১০৩টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় সিরিয়ায়। তবে রাসায়নিক হামলার বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হয়নি বা সিরিয়ার জনগণের কোনো মতামতও নেয়া হয়নি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নিজ নিজ দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

এদিকে কেমিক্যাল অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে হামলা চালানো হয়েছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কপটতা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। সিরিয়ায় কেমিক্যাল হামলার অভিযোগ তুলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরব হলেও ইরানের কেমিক্যাল হামলার সময় গোটা যুক্তরাষ্ট্র চুপ ছিলো বলে আলজাজিরা বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইরানের বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ট্রাম্পের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিচারিতা প্রকাশ পেয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কপটতা ফুটে উঠেছে।

ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ইরাকি বাহিনী বহুবার ইরানে কেমিক্যাল হামলা চালিয়েছিলো। ওই সময় কেমিক্যাল হামলায় ইরানের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার সেনা সদস্য ও সাধারণ নাগরিক মারা যায়।

কাস্ত্রো পরিবারের বাইরে নতুন নেতৃত্বে কিউবা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কিউবার পার্লামেন্ট রাউল কাস্ত্রোর ঘনিষ্ঠ মিগুয়েল দিয়াজ কানেলকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কিউবার পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করবে।

কয়েক যুগ পর এখন কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় কাস্ত্রো পরিবারের বাইরে নতুন নেতৃত্ব আসছে। কাস্ত্রো পরিবারের বাইরের নেতৃত্বের কিউবা কিভাবে এগুবে, তা নিয়ে এখন অনেক আলোচনা রয়েছে।

 

মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণের পেছনে রয়েছে গডসের অবৈধ সন্তান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ২০০৭ সালে ভারতে মক্কা মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে দায়ী জঙ্গিদের নাথুরাম গডসের অবৈধ সন্তান বলে মন্তব্য করলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

পাশাপাশি এই মামলায় যুক্তদের মুক্তি দেয়া নিয়ে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সমালোচনা করেছেন ওয়াইসি। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে খাঁচায় বন্দি মূক-বধির পাখির সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নাথুরাম গডসে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করেছিলো।