কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবি-চোরাকারবারী গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। চোরাকারবারীদের ছোড়া গুলিতে দুজন বিজিবি সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের জামালপুর সীমান্তে বিজিবি ও চোরাকারবারীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জামালপুর এলাকার কলেজ ছাত্র নাজমুল (১৮) ও লালচাঁদ নামে দুজনকে আটক করে আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জামালপুর সীমান্তে শীর্ষ চোরাকারবারী ভুট্ট, লালু, ডাবু, রবিউল ও সেকুলসহ ১০-১২ জন ভারতের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার নাসিরাপাড়া সীমান্তের ১৫৩-২(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচার করছিলো। এসময় ৩২বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ জামালপুর বিওপি’র টহলদল চোরাকারবারীদের ধাওয়া দিলে সশস্ত্র চোরাকারবারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে বিজিবি সদস্যরাও গুলি চালালে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে অন্তত ১৩-১৪ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটলে সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ নায়েক শোভন ও কনস্টেবল অনিন্দকে উদ্ধার করে মিরপুর ব্যাটালিয়নে নেয়া হয়। চোখে গুলিবিদ্ধ নায়েক শোভনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে এবং কনস্টেবল অনিন্দ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চোরাকারবারীর সাথে বিজিবির গুলি বিনিময়ের বিষয়ে জামালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েক সুবেদার আবুল হাসেম চোরাকারবারীদের ছোড়া গুলিতে তাদের দু সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এবং চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে তারা ৭ রাউন্ড গুলি বর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
অপরদিকে, সীমান্তে গোলাগুলির খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আশরাদুজ্জামান এবং ৩২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল রাশেদ আলম খান জামালপুর সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে চোরাকারবারীদের আটকে কঠোর পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।