প্রথম রাজধানী বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত

প্রথম রাজধানী হিসেবে চুয়াডাঙ্গার স্বীকৃতি দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি
স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল ছিলো ১০এপ্রিল প্রথম রাজধানী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন অস্থায়ী সরকার চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করে। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের ৪৭ বছরেও তা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত নয়। বিধায় ‘চুয়াডাঙ্গা প্রথম রাজধানী স্বীকৃতি চাই’ দাবিতে চুয়াডাঙ্গা প্রথম রাজধানী বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। মানববন্ধন শেষে এক শোভাযাত্রা জেলা শহর প্রশিক্ষণ করে। শেষে চুয়াডাঙ্গাকে প্রথম রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের আবেদন সংবলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পেশ করা হয়। এ সময় চুয়াডাঙ্গা প্রথম রাজধানী বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, সিপিবি নেতা লুৎফর রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের নেতা আলাউদ্দিন ওমর, বিএনপি নেতা অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জাতীয় গণফ্রন্টের নেতা লিটু বিশ্বাস, জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতা আফজালুল হক, উদীচীর সহসভাপতি বিল্লাল হোসেন, সুন্দরম মিডিয়ার পরিচালক আশরাফুজ্জামান শিমুল প্রমুখ। বিকেল ৫টায় শহীদ স্মৃতিসৌধের পাদদেশে চুয়াডাঙ্গা প্রথম রাজধানীর ইতিহাসনির্ভর ও মুক্তিযুদ্ধের গান এবং কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। গান পরিবেশন করেন উদীচীর শাওন রায়, ফরহাদ, ফরিদ, নয়ন, আসমাউল হুসনা, আফসানা, তন্ময় ও শ্রদাম রায় এবং অরিন্দমের হিরণ-উর-রশিদ শান্ত। কবিতা আবৃত্তি করেন সাব্বাতুল ইসলাম, মুরশিদ, নূরজাহান মুনিয়া, মতিয়ার রহমান দিপু, মাহির তাজওয়ার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা প্রথম রাজধানী বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের অবস্থানপত্র পাঠ করেন রিচার্ড রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রথম রাজধানী বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব। অবস্থানপত্রের মাধ্যমে যেসব দাবি তুলে ধরা হয়। তা হলো-১) ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার ঘোষিত ‘চুয়াডাঙ্গা অস্থায়ী রাজধানী’ অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করা। ২) ১০ এপ্রিল অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণার পর আকাশপথে বিমান হামলায় চুয়াডাঙ্গায় এবং ১৬ এপ্রিল সরোজগঞ্জ ও ডিঙ্গেদহ বাজারে পাকবাহিনী নির্বিচারে গুলি ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে গণহত্যা চালায় সেসব স্থান সংরক্ষণ ও শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা। ৩) মতিলাল আগারওয়ালার দ্বিতল বাড়ি, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশন হল, শ্রীমন্ত টাউন হল, পোস্ট অফিসের পুরাতন বিল্ডিং প্রভৃতি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করে ঐতিহাসিক নিদর্শন ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। ৪) জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বধ্যভূমি অবিলম্বে চিহ্নিত শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ, স্মুতিচিহ্ন বা বধ্যভূমি স্মারক মানচিত্র নির্মাণ করা।