চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট লাঞ্ছিত : অভিযুক্ত আশিক আটক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও ইন্টার্ন মেডিকেল অ্যসিসট্যান্টকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা সুমিরদিয়ার আশিক নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতরাত ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়। এদিকে ডাক্তার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় বিএমএ চুয়াডাঙ্গা শাখা জরুরি সভা করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে তারা আজ কালোব্যাজ ধারণ করবেন বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শিরিন জেবিন সুমি জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনিসহ দুজন ইন্টার্ন মেডিকেল অ্যসিসট্যান্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ডিউটি করছিলেন। এ সময় শহরতলির সুমিরদিয়া পাড়ার দরুদ হোসেনের ছেলে আশিক তার পায়ের একটি এক্সরে দেখানোর জন্য আসেন। এ সময় তিনি আমাদেরকে লাঞ্ছিত করেন। একই সাথে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন হুমকি দেন এবং গালাগালি করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হলে সদর থানার অপারেশন অফিসার ইন্সপেক্টর আমির আব্বাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় গতরাত ৮টার দিকে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কক্ষে জরুরিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, বিএমএ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল লতিফ, সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার্স) আহসান হাবীব, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির ও সার্জিক্যাল কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন। জরুরিসভা শেষে বিএমএ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী জানান, এঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সারাদিন আমরা কালোব্যাজ ধারণ করবো। সকাল ৯টায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অপারেশন অফিসার ইন্সপেক্টর আমির আব্বাস জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে অভিযুক্ত আশিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।