আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ ও ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চলমান স্বাধীনতা বিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে উপজেলার প্রায় ৩ শত মুক্তিযোদ্ধাদের ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় উপজেলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, মুক্তিযোদ্ধা ডা. সাহাবুদ্দিন সাবু, মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী, মুক্তিযোদ্ধা খন্দ. সেলিম, মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওহিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, মুক্তিযোদ্ধা আইনুদ্দিন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নানের নিকট পেশ করা হয়। উপজেলার প্রায় ৩শ’ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করছি উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র-ছাত্রী মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। আমরা অবাক হই এরা বাংলাদেশি হয়ে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধার বিপক্ষে কথা বলে। স্বাধীনতার পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ছাড়া দীর্ঘদিন আমরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেয়া ছিলো জীবনের জন্য ঝুকিপূর্ণ এবং আশ্চার্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করেছি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশের ক্ষমতা সর্বস্তরে বিচরণ করেছে। আমারা অবহেলিত এবং বঞ্চিত হয়েছি ও দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া বঞ্চিত জনগোষ্ঠির অর্ন্তভুক্ত হয়েছি। বর্তমান সরকারের সময়ে আমরা সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছি। এছাড়া কোটা ব্যবস্থা আইন করে প্রবর্তন করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়া হলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির কোনো প্রতিনিধি সরকারি চাকরিতে থাকবে না এবং সরকারি চাকরি বড় শহর কেন্দ্রিক হয়ে পড়বে। যার ফলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাষ্ট্রীয় সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়বে এবং স্বাধীনতা বিরোধী প্রচারণা শুরু হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের দাবিসমূহ ১। মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে, ২। শতভাগ কোটা ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যেন সর্বস্তরের জনগোষ্ঠি প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, ৩। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং বংশধরদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে, ৪। স্বাধীনতা বিরোধী সকল শক্তিকে উৎখাত করতে হবে, ৫। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের আইন তৈরি করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, ৬। সকল ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়াকে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনা এড়িয়ে চলতে হবে, প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করতে হবে, ৭। এ ধরনের আন্দোলনের ক্ষেত্রে সোস্যাল মিডিয়াসমূহ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।