চুয়াডাঙ্গা সড়াবাড়িয়ায় মতিষ্ক বিকৃত বক্করের পাশে দাঁড়ালেন কামরিয়া-পাকশিয়া বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আরিফ

?

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর সড়াবাড়িয়া গ্রামের হতদরিদ্র মতিষ্ক বিকৃত মেধাবী ছাত্র আবু বক্করের পাশে দাঁড়ালেন কামরিয়া-পাকশিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সময়বায় সমিতির সভাপতি সমাজসেবক আরিফুল ইসলাম আরিফ। পরিবারের খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি বাড়ালেন সহযোগিতার হাত। চিকিৎসার জন্য সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে দিলেন প্রতিশ্রুতি। অসহায় আবুবক্করের পাশে দাঁড়ানোয় সমাজসেবক আরিফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন পরিবারের লোকজন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর হতদরিদ্র মুছা করিমের মতিষ্কবিকৃত আবুবক্কর বেশ কিছুদিন থেকে বাড়িতে শিকল দিয়ে বাঁধা রয়েছে। আবু বক্করের স্বপ্ন এবং মেধা লোহার শিকলে বাঁধা এ সংক্রান্ত একটি সচিত্র প্রতিবেদন মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে একই ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের অহিদ ম-লের ছেলে কামরিয়া-পাকশিয়া বিল পানি ব্যবস্থাপনা সময়বায় সমিতি লিমিটেডের (পা:লি:) সভাপতি সমাজ সেবক আরিফুল ইসলাম আরিফ ছুটে যান বক্করদের বাড়ি। খোঁজখবর নিলেন বক্করের। পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য তাৎক্ষণিক একটি সিমসহ নতুন মোবাইর সেট তুলে দেন পরিবারের হাতে। মোবাইল ফোনটি গ্রহণ করেন বক্করের প্রতিবেশী দাদা আনছার আলী। সেই সাথে বক্করের চিকিৎসার জন্য সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন। এ সময় আরিফ বলেন, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। অনার্সপড়–য়া মেধাবী ছাত্র বক্কর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে এবং তার পরিবারের কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হবে এটাই আমার প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মা খোদেজা বেগম পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার পরও আবুবক্কর দিনমজুর খেটে ২০১১ সালে সড়াবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০১৩ সালে আন্দুলবাড়ীয়া কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করে। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে ২০১৩-১৪ সেশনে রাস্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স পড়ার জন্য ঢাকা গাজিপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে ভর্তি হয়। ২০১৬ সালে হঠাৎ মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটে আবুবক্করের। সেই থেকে পায়ে লোহার শিকল দিয়ে আটকে রাখে পরিবারের লোকজন। ছাড়া পেলে সংসারের যা আছে তাই ভাঙচুর এবং লোকজনকে মারধর করে থাকে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে সহযোগিতা পেলে আবু বক্কর একদিন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন নিয়ে পরিবারে বসবাস করবে এবং দরিদ্র পিতার স্বপ্নপূরণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা গ্রামবাসীর।