দর্শনায় পুলিশের পৃথক ৩টি মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ ৩জন গ্রেফতার

দর্শনা অফিস: দর্শনা আইসি পুলিশ মাদকবিরোধী লাগাতার ঝটিকা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জেলাকে মাদকমুক্ত করণের লক্ষ্যে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পরপর দুদিনের মাদকবিরোধী অভিযানে দর্শনা পুলিশ ফেনসিডিলের বড় ধরণের একটি চালান ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত ৩ মাদক কারবারীকে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এএসআই মনিরুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা রেলবাজারের কাচামাল আড়ৎপট্টিতে। একটি কাচামাল আড়ৎ থেকে বেগুনের বস্তায় অভিনব কৌশলে ঢাকার উদ্দেশে ফেনসিডিলের চালান বহন করা হচ্ছে সংবাদের ভিত্তিতেই পুলিশ এ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ কাঁচামাল আড়তের বেগুনের বস্তা থেকে উদ্ধার করেছে ২৩৬ বোতল ফেনসিডিল। এ ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্তগ্রাম মোল্লাপাড়ার আ. রাজ্জাক প্রধানের ছেলে নাসির উদ্দিনকে (৩২)। গ্রেফতারকৃত নাসির উদ্দিন বলেছে, এ ফেনসিডিলের চালান একই পাড়ার সুন্দর আলীর ছেলে রমজান ও ইব্রাহিম প্রধানের ছেলে রিপনের। ঢাকার সাভারের উদ্দেশে কহিনুর পরিবহনযোগে বেগুনের বস্তায় অভিনব কৌশলে এ চালান বহন করা হতো। এ ঘটনায় এএসআই মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত নাসিরসহ রিপন ও রমজানের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রিপন ও রমজানকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের একই দল অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে দর্শনা পৌর শহরের শান্তিপাড়ার মেজবাবুর ছেলে কুরবান আলীকে (২৭)। পুলিশ বলেছে, কুরবানের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। এ ঘটনায়ও এএসআই মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে গতকালই দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গত পরশু শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে এসআই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এএসআই লাভলু হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের ইহান নবীর ছেলে ইয়ার উদ্দিনকে (৩০)। পুলিশ বলেছে, ইয়ারের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। এ ঘটনায় এএসআই লাভলু বাদি হয়ে শুক্রবারই গ্রেফতারকৃত ইয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।