শৈলকুপার বাওড়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন : ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নে ৫২ একর জমিতে অবস্থিত বাওড়ে বিষ প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। চলতি সপ্তাহের যে কোন গভীর রাতের আঁধারে বাওড়ে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন ও তার অংশীদারগণ সরকারের কাছ থেকে জেলা প্রশাসকের টেন্ডারের মাধ্যমে ৩ বছর মেয়াদী বাওড়টি ৭৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে গত ১ বছর আগে মাছ চাষ শুরু করেন। গত ৬ মাস আগে তিনি রুই, মৃগেল, কার্প, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার পোনা ছেড়েছিলেন। মাছের সঠিক পরিচর্যার জন্য উপজেলা মৎস্য অফিসের সহায়তাও নেয়া হয়েছিলো বলেও জানা গেছে। আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন জানান, গত ১০দিন আগে বাওড়ে নাইটগার্ডকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এই নিয়ে শালিস বৈঠক বসেছে। তার ধারণা এরই জের ধরে বাওড়ে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটতে পারে। গত ৫-৭ দিন ধরে বাওড়ে মাছগুলো পানির উপরিভাগে মরে ভেসে উঠেছে। শুধু তাই নয় পানিতে থাকা অন্যান্য জলজ প্রাণীও মরে ভেসে উঠেছে। বাওড়ে থাকা রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, গ্লাসকার্প, কৈই, শৈল, টাকিসহ দেশীয় প্রজাতির প্রায় ৬ থেকে ৭শ’ মন মাছ বিষ প্রয়োগ করে নিধন করা হয়েছে। এঘটনায় আনুমানিক প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বহু পুরনো সরকারের এ বাওড়টিতে প্রতি বছর শত শত মণ বিভিন্ন মাছের চাষ করে স্থানীয়রা। পানি দূষণ কিংবা বিষপ্রয়োগের ফলে মাছ মারা যাচ্ছে কিনা তা ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গণি বলেন, বাওড়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি তবে, বিষয়টি খুব দুঃখজনক।