গ্রাহকের কিস্তির প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গাঢাকা দিয়েছে হাটবোয়ালিয়ার আরআরএফ এনজিও’র ম্যানেজার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আরআরএফ নামক এনজিও’র হাটবোয়ালিয়া ইউনিট অফিসের ম্যানেজার গ্রাহকের কিস্তির প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গাঢাকা দিয়েছে। হাটবোয়ালিয়া ইউনিট অফিসের আওতাধীন গাংনী, মিরপুর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রায় দেড়শ’ গ্রাহক রয়েছে। এনজিও’র পক্ষ থেকে প্রভাবশালী কিছু গ্রাহকের টাকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলেও অধিকাংশ গ্রাহক এমন প্রতিশ্রুতি থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রতারিত গ্রাহকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া বাজারে আরআরএফ (রুরাল রিকন্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন) নামক একটি এনজিও’র ইউনিট অফিস রয়েছে। এই ইউনিট অফিসের আওতাধীন গাংনী, মিরপুর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার দেড়শ’ গ্রাহক রয়েছে। এনজিওটির ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পে চাকরি করছেন ৭ জন ক্রেডিট অফিসার। হাটবোয়ালিয়া ইউনিট অফিসের ব্যবস্থাপক ছিলেন কুষ্টিয়া শহরের সুমন শেখ। সম্প্রতি তিনি গ্রাহকের কিস্তির প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও এনজিও কর্তৃপক্ষ তার সন্ধ্যান পায়নি। তার সাথে এই টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এনজিও কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ২জন ক্রেডিট অফিসারকে চাকরিচ্যূত করেছেন। এরা হলেন হরিণাকু-ুর শাহজাহান আলী ও মাগুরা জেলার সাগরিকা। অভিযোগ উঠেছে- এনজিও’র পক্ষ থেকে প্রভাবশালী কিছু গ্রাহকের টাকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও অধিকাংশ গ্রাহক এমন প্রতিশ্রুতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। অর্থ আত্মসাৎকারী ব্যবস্থাপক সুমন শেখের পরিবর্তে বর্তমানে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন আবুল কালাম আজাদ। গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত বিষয়ে বর্তমান ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, ইতোমধ্যেই অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক ব্যবস্থাপক সুমন শেখ এবং তার স্ত্রী ও পিতাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
এদিকে, এ অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও ওই এনজিওতে এসসিও পদে সদ্য যোগদানকারী নওগাঁর সোহেল রানাকে ফাঁসাতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল বাধ্য হয়েই নিজে নিজেই চাকরি থেকে লিখিত অব্যাহতিপত্র দিয়েছেন। যাহা ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। এর আগে টাকা আত্মসাতের সাথে জড়িত না থাকায় তাকে সর্তক করেন। এ অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রতারিত দরিদ্র গ্রাহক সাধারণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।