আলমডাঙ্গার বড়বোয়ালিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা : ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার বড়বোয়ালিয়া জুয়েলের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে জুয়েলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জুয়েল ওই গ্রামের পূর্বপাড়ার আকালের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর ডাক্তার পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার বড় বোয়ালিয়া পূর্বপাড়ার জুয়েলের সাথে একই এলাকার এক স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই মাঝে জুয়েল ওই স্কুলছাত্রীর সাথে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দেখা করতো। জুয়েল ওই স্কুল ছাত্রীকে বলতো সে ডাক্তারী পড়ছে। পড়াশোনা শেষ করে ডাক্তার হবে এবং তাকে বিয়ে করে সুখে রাখবে। এভাবে জুয়েল প্রায় তাকে অবৈধ মেলামেশার প্রস্তাব দিতো। এরই একপর্যায়ে গত ২৯ মার্চ রাত ১২টার দিকে জুয়েল স্কুল ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে এবং ওই রাতে তাকে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রীর মা ঘটনা টের পেলে প্রতিবেশীদের ডাক দেয়। জুয়েল পালানোর চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা তাকে আটক করে। জুয়েল ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে স্কুল ছাত্রীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা বিয়ের জন্য জুয়েলকে চাপ দেয়। ধর্ষক জুয়েল বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং বিভিন্নভাবে আপোস মিমাংসার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে ২ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষক জুয়েলের নামে মামলা করে। চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার আদেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।