স্ত্রী-সন্তানকে আলমডাঙ্গায় ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে গিয়েছে ভোলার মনপুরার মনির

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: স্ত্রী ও সন্তানকে আলমডাঙ্গায় ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে গিয়েছে ভোলার মনপুরার মামুন ওরফে মনির। সে ১ম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানদের ফেলে গত একযুগ ধরে আলমডাঙ্গার এক আবাসনে নতুন করে বিয়ে করে সংসার পেতেছে। গতকাল ১ম স্ত্রী সন্তানরা আসলে তাদের নিকট থেকে মোবাইল ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতারক মামুন ওরফে মনির। এ সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গার তরিকা নামের একটি সামাজিক সংগঠন ছুটে গিয়ে তাদেরকে রাতে হোটেলে খাওয়ানো ও আর্থিক সহযোগিতাসহ ভোলার যাওয়ার ব্যবস্থা করে। রাতেই তাদেরকে রকেট মেইল ট্রেনে উঠিয়ে দেয় তরিকার সদস্যরা।
জানা গেছে, ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার শাকুচিয়া গ্রামের মামুন হাওলাদার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানকে ফেলে রেখে চলে আসে। আলমডাঙ্গা অঞ্চলের কোনো এক আবাসনে ১০-১২ বছর মামুনের নাম পরিবর্তন করে মনিরুজ্জামান নামে বসবাস করছে। এখানে সে লেবারের কাজ করে। আলমডাঙ্গা অঞ্চলে আবারও একটি বিয়ে করেছে। এখানেও তার দুটি কন্যা সন্তান আছে। মামুন ওরফে মনিরুজ্জামান প্রায়ই ভোলায় স্ত্রী সন্তানের জন্য টাকা পাঠাতেন। গত কয়েক মাস আর তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। মানুনের ভাই সবুজ ঈশ্বরদি বিয়ে করে ঘর জামাই থাকেন। সবুজের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামুন ওরফে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৪০) বড় মেয় মীম (১৬), মেজো মেয়ে শানজিদা (১৫) ও ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে (১০) নিয়ে গতকাল আলমডাঙ্গা আসে। ভাবী ও তিন মেয়েকে সবুজ তার ভাই মনিরুজ্জামানকে মোবাইলে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে ডেকে তার হাতে দিয়ে চলে যায়। মামুন ওরফে মনিরুজ্জামান তাদেরকে নিয়ে আলমডাঙ্গা বাজারের ভেতরে আসে। বাজারের মধ্যে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে বসিয়ে তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ কিছু টাকা নিয়ে ১০ মিনিট পর আসছি বলে পালিয়ে যায় মামুন ওরফে মনিরুজ্জামান। সন্ধ্যার পর তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা দেখে কাছারি বাজারের লোকজন সামাজিক সংগঠন তরিকার সদস্যদের সংবাদ দেয়। তরিকার সদস্যরা গিয়ে তাদের সাথে কথাবার্তা বলে রাতে খাওয়ানো ও আর্থিক সহযোগিতা করে তাদেরকে বাড়ি পাঠানো ব্যবস্থা করে। রাতেই সামাজিক সংগঠন তরিকার সদস্যরা রকেট মেইল ট্রেনে তাদেরকে খুলনা যাওয়ার ব্যবস্থা করে। সকালে তারা খুলনা থেকে বরিশাল ও পরে ওখান থেকে ভোলা যাবে বলে তিন কন্যা সন্তানের মা পারভীনা জানান।