অটো নিয়ে অজ্ঞানপার্টির চম্পট : সিসি ক্যামেরায় চোর শনাক্ত

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ থেকে অটো ভাড়া করে হারদী নিয়ে চালককে অজ্ঞান

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ বাজার থেকে ব্যটারিচালিত অটো ভাড়া করে আলমডাঙ্গা পশুহাটে যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। সেখান থেকে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে চালককে অজ্ঞান করে অটো নিয়ে চম্পট দেয় তারা। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে। মুন্সিগঞ্জ বাজারের এক অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের বাড়িতে স্থানীয়রা হানা দিলেও ছিনতাই পার্টির সদস্য শফিকুল পালিয়ে গেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার গাংনী ইউনিয়নের নীমতলা গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা (২৮) প্রতিদিনের মতো গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত অটো নিয়ে মুন্সিগঞ্জ বাজারে আসে। সকাল ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জ হাসাপাতাল মোড় থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে আলমডাঙ্গা পশুহাটে যায়। সেখান থেকে সব যাত্রী নেমে গেলে দুজন যাত্রী গাড়িতে বসে থাকে। বেশি ভাড়ার লোভ দেখিয়ে ও হাসপাতালে রোগী আছে বলে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে অনেকটা বাধ্য করে। হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে একটি আম বাগানের নিচে গাড়ি রেখে হাসপাতালের ভেতরে রোগী দেখতে যায় চালকসহ দুজন। সেখানে কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলে হাসপাতালের নির্জন স্থানে গিয়ে সেভেন আপ, আঙ্গুর, আপেল খেতে থাকে সবাই মিলে। এ সময় চালক সোহেল রানা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ধরাধরি করে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সেখানে ভর্তি করে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসি ক্যমেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ থেকে ছবি সংগ্রহ করে চোর চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়। এমনই বর্ণনা দিতে গিয়ে চালক সোহেল রানা আরও বলেন, গত পরশু কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসি। মুন্সিগঞ্জ সোনাতনপুর গ্রামের নূর নবীর ঘরজামাই শফিকুলকে সন্দেহ হলে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে আমাদের দেখামাত্র সে পালিয়ে যায়। শফিকুলই সেই অজ্ঞান পার্টির মধ্যে একজন ছিলো।
এ ব্যপারে গতকাল সন্ধায় বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ ও জেহালা ইউপি সদস্য হিরালাল স্থানীয়দের সাথে নিয়ে সালিশের আয়োজন করেন। ছিনতাইপার্টির সদস্য শফিকুলের শ্বশুর ও স্ত্রী আগামী দুদিনের মধ্যে অটো গাড়ি ফেরত দেবে বলে অঙ্গিকার করেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগে এই শফিকুল চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জের এক ব্যক্তির আলমসাধু ছিনতাই করে। থানা ও কোর্টে মামলা না হলেও কয়েকদিনের মধ্যে আলমসাধু ফেরত দিয়ে সেবারের মতো রক্ষা পায়।