প্রতিপক্ষের রডের আঘাতে একজন আহত : লুটপাটের অভিযোগ

দামুড়হুদার লোকনাথপুরে পারিবারিক কলহের জের : সালিসের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা

দামুড়হুদা/হাউলী প্রতিনিধি : পারিবারিক কলহের এক মাসের মাথায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা শেষমেষ ভেস্তে গেছে। সালিশ-বৈঠক শেষ হতে না হতেই জনি (২৯) নামের এক যুবককে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। রক্তাক্ত জখম জনিকে চিৎলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে লোকনাথপুর মাঝেরপাড়ার বিল্লাল মালিথার ছেলে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লোকনাথপুরস্থ শাহ মার্কেটের সামনে জনিকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর মাঝেরপাড়ার বিল্লাল মালিথার ছেলে জনির বছর তিনেক আগে রাঙিয়ারপোতা গ্রামের আলিহিমের মেয়ে শাকিলার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঠিকমতো বনিবনা ছিলো না। তাদের সংসারে দুবছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মাস খানেক আগে জনির পরিবারের লোকজনের আলিহিমের আত্মীয় লোকনাথপুর পূর্বপাড়ার মৃত হযরত আলীর ছেলে রশিদুলের পরিবারের লোকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে জনি ও তার শশুরের পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গতকাল রোববার বিকেলে হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টুর উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশ বৈঠকে সোনার চেইন ফেরতসহ ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে যৌথ তালাকের সিদ্ধান্ত হয়। সালিশ বৈঠক শেষে জনি সোনার চেইন আনতে বাড়িতে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ রশিদুল ও তার দুই ছেলে মিঠুন ও শাকিল রড দিয়ে জনিকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় জনির পকেটে থাকা ২৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাকে চিৎলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার মাথায় পাশাপাশি দুস্থানে ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তাকে চিৎলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত জনির পিতা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।