চুয়াডাঙ্গায় বিরল প্রজাতির ১০ মণ মাছ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় : বিক্রি হয়নি একটিও

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন মাছের পাইকারি বাজারে ১০ মণ নতুন জাতের মাছ আমদানি হলেও একটিও বিক্রি হয়নি। এই অবিক্রিত মাছ এলাকাবাসী একুইরিয়ামে ব্যবহারসহ অন্যান্যদেরকে দেখাতে নিয়ে গেছে। এই মাছ বিক্রি না হওয়ায় মৎসচাষি কামরুজ্জামান আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
গতকাল রোববার সকাল ৯টায় বিরল প্রজাতির এ মাছ রজনীগন্ধা ফিস হাউজ নামের একটি আড়তে নিয়ে আসা হলে উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় জমায়। মৎসচাষি কামরুজ্জামান তালু বলেন, চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার শাহী মসজিদের নিয়ন্ত্রণাধীন ১০ বিঘা আয়োতনের একটি পুকুর ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় ৩বছর মেয়াদী বন্দোবস্ত নিয়েছেন। ওই পুকুরে রুই, কাতলা, বাটা, সিলভার ও মৃগেল জাতের পোনা ছাড়া হয়। এতে ২ লাখ টাকা খরচ হয়। গতকাল রোববার সকালে মাছ তোলার পর জালে উঠে আসে বিরল প্রজাতির মাছ। তিনি দাবি করেন, কেউ শত্রুতামূলকভাবে পুকুরে এ মাছের পোনা ছেড়েছে।
মৎস্য আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘ ব্যবসায়ী জীবনে এই ধরনের মাছ কখনও দেখিনি।
রেলওয়ে শাহী মসজিদের সহ-সম্পাদক নাজমুল আলম খাঁন বলেন, মৎসচাষি কামরুজ্জামান ৩বছর মেয়াদী বন্দোবস্ত নিলেও এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা বৈশাখ মাসে দেয়ার কথা ছিলো। সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, এটা আইড় জাতীয় মাছের একটি প্রজাতি। এর নাম সাকার মাছ। এটা রাক্ষুসী মাছ নয় এবং খেলেও কোনো ক্ষতি নেই।