গাংনীতে প্রাক্তন স্বামীর হেঁসোর কোপে স্ত্রী জখম

গাংনী প্রতিনিধি: প্রাক্তন স্বামীর হেঁসোর কোপে খুশিয়ারা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধু মারাত্মক জখম হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে গৃহবধুর পিতার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে পালিয়ে গেছে বাওট গ্রামের রানা মিয়া।
খুশিয়ারা পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে পিতার বাড়ি বাওট গ্রামে বেড়াতে আসে এক সন্তানের জননী খুশিয়ারা খাতুন। রোববার সকালে পিতার বাড়ির সামনে হাটাহাটি করছিলেন। এসময় রানা মিয়া ধারালো হেঁসো হাতে নিয়ে তার ওপর হামলা করে। অসহায় খুশিয়ারার ওপর এলোপাথাড়ি কোপ দেয়। কোপ ঠেকাতে গিয়ে হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাত্ব জখম হয়। খুশিয়ারার চিৎকারে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে রানা দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খুশিয়ারার বাম হাতে বৃদ্ধাঙ্গুল ও ডান হাতের কনুইয়ের টেনডন কেটে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল রানার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ঘর তল্লাশি চালিয়ে ২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে। রানা একজন মাদকসেবী বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযানের সময় রানার মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, বছর চারেক আগে খুশিয়ারার সাথে প্রতিবেশী রানার প্রেমজ সম্পর্ক করে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পরেই দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়। সেই থেকেই খুশিয়ারার ক্ষতির চেষ্টা করে আসছে রানা। ইতোমধ্যে আবারও খুশিয়ারার সাথে বিয়ে হয় এ উপজেলা হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মাহাতাবের সাথে। তাদের সংসারে রয়েছে নয় মাস বয়সী এক কন্যাসন্তান।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, হামলাকারী রানাকে আটকের চেষ্টা চলছে। মামলারও প্রক্রিয়া চলছে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে।