মাথাভাঙ্গা মনিটর: সঙ্গীর অভাবে মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না টেম্বা বাভুমার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গেলেন পাঁচশ রানের কাছাকাছি। জবাব দিতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতা আর স্বাগতিকদের দারুণ বোলিংয়ে জোহানেসবার্গ টেস্টে ফলোঅনের শঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১০ রান। টিম পেইন ৫ ও প্যাট কামিন্স ৭ রানে ব্যাট করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে এখনও ১৭৮ রান চাই অতিথিদের।
২০১৬ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলতে নেমে দ্রুত ফিরে যান জো বার্নস। কাগিসো রাবাদার আউট সুইঙ্গারে খোঁচা মেরে তিনি ধরা পড়েন ফাফ দু প্লেসির হাতে। আরেক ওপেনার ম্যাট রেনশকে ফেরান ভার্নন ফিল্যান্ডার। পরে পিটার হ্যান্ডসকমকে দেন গোল্ডেন ডাকের স্বাদ।
শুরুতে ভোগা উসমান খাজা ক্রমশ ফিরে পান নিজেকে। তবে ফিরে যান অর্ধশতক ছুঁয়েই। ফিল্যান্ডারের লেগ স্টাম্পে থাকা লেংথ বলে ধরা পড়েন কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে। ৮৪ বলে ৫৩ রান করা খাজার ইনিংসে চার ৯টি।
৪ বলের মধ্যে দুই ভাই শন ও মিচেল মার্শকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামা মর্নে মর্কেল বোল্ড করে দেন মিচেলকে। ১৬ রান করা শনকে বিদায় করেন কেশভ মহারাজ। বাকি সময়টা কামিন্সকে নিয়ে কাটিয়ে দেন অধিনায়ক পেইন। এর আগে নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৩১৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের দিনের ১৪ রানের জুটিকে ৮৫ পর্যন্ত এগিয়ে নেন বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক।
প্রথম সেশনের শেষ দিকে ডি কককে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের প্রতিরোধ ভাঙেন ন্যাথান লায়ন। বাভুমাকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি ফিল্যান্ডার। তবে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে বাভুমার সঙ্গে ৭৬ রানের দারুণ এক জুটি উপহার দেন মহারাজ। আগের সেরা অপরাজিত ৪১ রান ছাড়িয়ে ৪৫ রান করা মহারাজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। পরের বলে ফিরিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মর্কেলকে।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৮৮ রানে থামান কামিন্স। ২০১১ সালে জোহানেসবার্গেই টেস্ট অভিষেকে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন এই পেসার। ৮৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি বাভুমার। শটের পসরা সাজিয়ে বসা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ১৯৪ বলে ১৩টি চারে অপরাজিত থাকেন ৯৫ রানে।