কুড়ুলগাছির ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী পেটানো শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত : ভুল শিকার করে ক্ষমা চাইলেন জাহিদ

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ধান্যঘরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। শিক্ষক জাহিদুলের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে পেটানোর অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম রেজা ও উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীনের উপস্থিতিতে ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে তদন্ত হয়। এ সময় পিটুনির শিকার ছাত্রী নুসরাত জাহান রোশনির কথা রেকর্ড করা হয়। তার বাবা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ফরিদ আহম্মদ রানা শাহার কথা ও বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক জাহিদের কথাও রেকর্ড করা হয়। এ সময় অনেক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। তদন্তে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠে আসে আরও কতিপয় ছাত্রী পেটানোর অভিযোগ। কয়েকদিন আগে শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ের ছাত্রী দিপা, তারিন ও আঁখিকে মারধর করেন বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। গত শনিবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রী পেটানো ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী রোশনি বলেছে তাকে বিনা দোষে প্রধান শিক্ষক মারধর করেন । এদিকে আহত শিক্ষার্থীর বাবা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সহসভাপতি ফরিদ আহম্মদ রানা শাহা দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জানানোয় গতকাল রোববার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। এ বিষয়ে ফরিদ আহম্মদ রানাা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ভুল শিকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং বিষয়টি আমিও শিথিল করার জন্য অফিসারদের বলেছি। অভিযুক্ত স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন আমি ভুল করেছি আগামীতে আর এই ধরনের ভুল হবে না। বিদ্যালয়ের সভাপতি ইমদাদুল মালিতা জানান, আমার বিশেষ কাজ থাকায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারিনি তবে তদন্ত হচ্ছে শুনেছি । এ বিষয়ে তদন্ত অফিসার দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক সককারী শিক্ষা অফিসার সেলিম রেজা বলেন, উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি, রেকর্ড করেছি। আমি দু’একদিনের মধ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবো। তবে শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম নিজের দোষ স্বীকার করে অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি আরো বলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভাব সহকারী শিক্ষক যাতে বদলি হয় তার জন্য জোর সুপারিশ করবো। এ ছাড়াও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কথাও মনোযোগ সহকারে শুনি। সুধীমহলের অভিযোগ দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষিকার গুণগতমান দিন দিন ভেঙে পড়ছে। দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।