অনলাইন ডেস্ক: ভারতীয় পেসার মহম্মদ সামি ও তার স্ত্রী হাসিন জাহানের মধ্যে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা চলছেই। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ)-র কাছে হাসিন জাহানের অভিযোগপত্র ও এফআইএর-এর প্রতিলিপি পাঠালেন তার আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের চেম্বারে সাংবাদিক সম্মেলন করে হাসিনের আইনজীবী জাকির হুসেন বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সামির বিরুদ্ধে হাসিনের অভিযোগপত্র ও এফআইআর-এর প্রতিলিপি সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ রাই-এর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’ এ দিন নয়াদিল্লি-তে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান নীরজ কুমার তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন মহম্মদ সামি-কে। এরই মধ্যে, মহম্মদ সামি গণমাধ্যমের কাছে পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘আগের বিয়ে সম্পর্কে হাসিন আমাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছিল। হাসিনের আগের পক্ষের যে দুই কন্যাসন্তান রয়েছে তা জানতাম না। বিয়ের পরে জানতে পারি। তার আগে আমাকে বলা হয়েছিল ওই দুই কন্যাসন্তান ওর বোনের।’
যার উত্তরে হাসিনের আইনজীবী বলছেন, ‘সামিকে বিয়ের আগে রবীন্দ্রনগরে ভাড়া থাকত হাসিন। সেখানে ও রোজ যেত। হাসিনের আগের বিয়ের ব্যাপারে সব কিছু জেনেই ওকে বিয়ে করেছিল সামি। এখন নিজেকে বাঁচাতে এ সব বলছে।’
হাসিন এত দিন বলছিলেন যে তাকে সংসার খরচের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি দেয়া হতো না। কিন্তু প্রচারমাধ্যমের কাছে সামির অভিযোগ যে, তার ডেবিট কার্ড থেকে বছরে দেড় কোটি টাকা খরচ করেছেন তার স্ত্রী। জবাবে হাসিন এ দিন বলেন, ‘বছরে দেড় কোটি টাকা সংসার চালানোর জন্য যদি সামি দিত তা হলে তো আর কোনো ত্রুটিই থাকত না।’
এদিকে বুধবার ঝামেলা মেটানোর জন্য চেষ্টা চালিয়েছিলেন সামি। কিন্তু এ দিন তিনি বলে দিয়েছেন, ‘পরিবারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে হাসিনের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসার জন্য সব রকমের চেষ্টা করেছি। কিন্তু হাসিন এই ঝামেলা আদালতে নিয়ে যেতে চায়। তার পরেও আমার পরিবারের কয়েকজন সদস্য সাতদিন ধরে কলকাতায় ছিলেন মীমাংসা করার জন্য। কিন্তু হাসিন বা ওর পরিবারের তরফে কোনও উদ্যোগ দেখিনি। যার অর্থ, ঝামেলা মিটমাট হওয়ার কোনো রাস্তা খোলা নেই আর।’