জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে

চুয়াডাঙ্গায় দু’দিনব্যাপী পরিবার পরিকল্পনা মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী পরিবার পরিকল্পনা মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত হয়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশে জনসংখ্যা ছিলো সাড়ে ৭ কোটি। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটির ওপরে। দেশে দিন দিন একদিকে যেমন জনসংখ্যা বাড়ছে অপর দিকে ঘরবাড়ি নির্মাণের ফলে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির একমাত্র কারণ বাল্যবিয়ে। এর ফলে আত্মহত্যা, নারী নির্যাতন, তালাক, বহু বিয়ে, মা ও শিশু মৃত্যুর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কমে যাচ্ছে নারী শিক্ষার হার। এ জন্য বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর নিরলসভাবে কাজ করার ফলে চুয়াডাঙ্গা জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সহনীয় পর্যায়ে আছে। কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত জেলাগুলোতে তুলনামূলকহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারাদেশব্যাপী এ পরিবার পরিকল্পনা মেলা জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জেলায় কর্মরত সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও তিনি আগামী ১০মার্চ থেকে ১৫মার্চ পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত লোকজ ও বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানের মেলা দেখার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আব্দুল হান্নানের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ¯িœগ্ধা দাস, সাব্বির আহামেদ, ইফফাত আরা জামান উর্মি। আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের জেলা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, প্রত্যাশার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন, পাস’র নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন, গ্রামীণ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক সাইদুর রহমান লিপু, কম্প্যাক্ট’র নির্বাহী পরিচালক কামরুজ্জামানসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। শেষে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।