আলমডাঙ্গা ও জীবননগরের ৫টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ ও বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার দুটি ও জীবননগরের ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীদের প্রতিপক্ষ দু’দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এ ৫ ইউপি নির্বাচনে আগামী ১২ মার্চ সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন রয়েছে। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার। নির্বাচনে ৫টি ইউনিয়নে ৬১ হাজার ১৩৯ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে হাসাদাহ ইউপি নির্বাচনে রাজা আহমেদ ঋণ খেলাপি, সদস্য পদে ৬নং ওয়ার্ডের লিটন মিয়া ও ৮নং ওয়ার্ডের আশরাফ আলী মল্লিক কাগজপত্র ত্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা। নির্বাচনে নাগদাহ ও আইলহাস ইউনিয়নে রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনছার এবং জীবননগরের বাঁকা, হাসাদাহ ও রায়পুর ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫টি চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন, ১৫টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৪ জন এবং ৪৫টি সাধারণ সদস্য পদে ২০৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৩ মার্চ। আগামী ১৪ ও ১৫ মার্চ আলমডাঙ্গা ও জীবননগরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আচরণবিধি সংক্রান্ত মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২১ মার্চ আলমডাঙ্গায় ও ২২ মার্চ জীবননগরে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার , ইউএনও এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ-নৌকা), আবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), মকলেছুর রহমান জোয়ার্দ্দার (বিএনপি-ধানের শীষ), আব্দুর রশীদ (বিএনপি-বিদ্রোহী), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান দারুস সালাম (জামায়াত), খোন্দকার বজলুল করিম, আলমগীর হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম (জাকের পার্টি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউপিতে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩ জন এবং ৯টি সাধারণ সদস্য পদে ২৮ জন নির্বাচনে লড়ছেন।
আইলহাস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অ্যাড. আব্দুল মালেক (আওয়ামী লীগ-নৌকা), রকিবুল হাসান (আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), আব্দুল ওয়াহাব (বিএনপি-ধানের শীষ) এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মিনাজ উদ্দীন বিশ্বাস (বিএনপি-বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউপিতে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন নির্বাচনে লড়ছেন।
জীবননগরের বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কাদের প্রধান (আওয়ামী লীগ-নৌকা), আবুল হাশেম (আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), আবুল কাশেম মুন্সী (বিএনপি-ধানের শীষ) স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান ও সাখাওয়াত হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউনিয়নে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন এবং ৯টি সাধারণ সদস্য পদে ৫৬ জন নির্বাচনে লড়ছেন। নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রবিউল ইসলাম (আওয়ামী লীগ-নৌকা), সোহরাব বিশ্বাস (আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), কামাল উদ্দীন সিদ্দীকী (বিএনপি-ধানের শীষ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক (জামায়াত) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউপিতে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং ৯টি সাধারণ সদস্য পদে ৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেন (আওয়ামী লীগ-নৌকা), আব্দুর রশীদ শাহ (আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), মতিয়ার রহমান (বিএনপি-ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাত বিশ্বাস, সাইদুর রহমান ও মোহাম্মদ আলী (জামায়াত) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউপিতে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭ জন এবং ৯টি সাধারণ সদস্য পদে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোন প্রার্থী এ পর্যন্ত আপীল বোর্ডে কেউই কোনো আবেদন করেননি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কঠোর চিন্তাভাবনা রয়েছে। এজন্য প্রার্থী, ভোটার ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা দরকার।